সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কচুয়া চৌমুহনী এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা।
বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর শুরু হওয়া বিক্ষোভ চলে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের আশ্বাস পাওয়ার পর বিক্ষোভ থেকে সরে আসেন চালকরা। এরপরেই কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভরত চালকদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ তাদের চাহিদা মতো চাঁদা না পেলে সিএনজিগুলো ধরে মামলা দিয়ে পুলিশ লাইনে রেখে দেয়। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে বুধবার (১৬ মার্চ) তারা বিক্ষোভ করে।
জানা যায়, কুমিল্লা নগরীতে সহস্রাধিক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করে। এসব অটোরিকশা ট্রাফিক পুলিশের দেয়া টোকেন ছাড়া চলাচল করতে পারে না। নগরীর সড়কগুলোতে অটোরিকশা চলাচল করলে প্রতি মাসে ১২০০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা দিলে চালকরা একটি টোকেন পান। এই টোকেন থাকলে ট্রাফিক পুলিশ সড়কে কোনো ঝামেলা করে না। যারা ১২০০ টাকার টোকেন সংগ্রহ করবে না, তাদের সিএনজি ধরে বিভিন্ন ধারায় মামলা দিয়ে পুলিশ লাইন নিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছেন চালকরা।
ভুক্তভোগী অন্তত ১০ জন সিএনজি চালক নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, আমরা ১২০০ টাকায় টোকেন সংগ্রহ না করায় ট্রাফিক পুলিশ আমাদের সিএনজি ধরে মামলা দিয়ে পুলিশ লাইনে নিয়ে গেছে। বহু দিন ধরে এমন চলছে। আর না পেরে আমরা রাস্তায় নেমেছি।
তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে ট্রাফিক পরিদর্শক এমদাদুল হক জানান, মূলত আইনশৃংখলা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল নগরীর যানজট নিরসনে কান্দিরপাড়ে সিএনজি স্ট্যান্ডটি বন্ধ করতে হবে। কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছি। এ কারণে চালকরা বিক্ষোভ করছে। চাঁদাবাজি কিংবা টোকেন মূল বিষয় নয়, যাদের বৈধ কাগজপত্র নেই তাদেরকে ধরে ট্রাফিক আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন, আমরা সিএনজি চালকদের আশ্বস্ত করেছি যে, যদি তাদের বৈধ কাগজপত্র থাকার পরেও ট্রাফিক পুলিশ হয়রানি করে সেক্ষেত্রে পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে বিষয়টি যথাযথভাবে তুলে ধরতে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু বলেন, আমরা সিএনজি চালক, মালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের নিয়ে আজ সন্ধ্যায় নগরীর টাউনহলে বসে সিদ্ধান্ত নেব। যদি আমরা ট্রাফিক পুলিশ থেকে সন্তোষজনক উত্তর না পাই সেক্ষেত্রে আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে এ বিষয়ে সুরাহা প্রত্যাশা করবো। এ কথা শুনে সিএনজি চালকরা বিক্ষোভ থেকে সরে আসে।
আইআর/১৬ র্মাচ