স্টাফ রিপোর্ট;: বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কে ধীরগতির ঠিকাদারি কাজে সীমাহীন ভোগান্তির চরমে পৌঁছেছেন দুই উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। ধীরগতি আর অপরিকল্পিত খোঁড়াখোঁড়ির মাধ্যমে সড়ক সংস্কারে দু’বছরেরও বেশী সময় ধরে ভোগান্তি আর বিপর্যয়ের শিকার এই সড়ক ব্যবহারকারী জনসাধারণ। মাত্র ১৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজে বছরের পর বছর পার করছেন সাব ঠিকাদার সুহেল খান, এমন শম্ভুক গতির কাজে জনসাধারণের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভের।
দীর্ঘ দু’বছরের মধ্যে কাজের মেয়াদ একবার শেষ হলেও শেষ হয়নি বিশ্বনাথ অংশের এই সংস্কার কাজ। গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে একসাথে কাজ শুরু করে জগন্নাথপুর অংশের কাজ শেষ হয়েছে বেশ কয়েকমাস আগেই। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সংস্কার কাজ শুরু হয়ে প্রথম মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালের ১০ মে। চলতি বছরের ১০ আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়ে দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু করা হলেও ভোগান্তির হচ্ছেনা শেষ। এই দু’বছরের ভেতরে ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে সাড়ে ৭ কিলোমিটার কাজও সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদার।
মাসখানেক পূর্বে ময়নাগঞ্জ বাজার থেকে বিশ্বনাথের সীমানা ৮ঘর পর্যন্ত ভালো সড়কের কার্পেটিং খোঁড়ে রাখা হয়েছে। ফলে ওই অংশে প্রায় দিন মালবাহী ট্রাক ধেঁবে গিয়ে ৬/৭ঘন্টা উভয় পাশে যাত্রীবাহী গাড়ি যানজটে আটকে থাকতে হয়। এ দুই বছরে চান্দশির কাপন থেকে বিশ্বনাথ পৌর শহর পর্যন্ত মাত্র এক কিলোমিটার আরসিসি ঢালাই কাজের জন্য জনবহুল এই সড়কটি তিনবার বন্ধ করা হয়েছে। ফলে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া ও সময় ব্যয় করে আরও অতিরিক্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে বিশ্বনাথে আসতে হচ্ছে। দ্রুত কাজ শেষ করা না হলে সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে অনেকেই মনে করছেন।
এব্যপারে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া বলেন, জুনের ভেতরে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে আল্টিমেটাম দিয়েছেন।
আইআর/১৫ র্মাচ