ওসমানীনগর প্রতিনিধি;: সিলেটের ওসমানীনগরে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে আদালতে মামলা করেছেন এক বিএনপি নেতা। রোববার সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ বালাগঞ্জ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী উপজেলা বিএনপির মনগড়া কমিটি গঠনের অভিযোগে এনে রোববার (১৩ মার্চ) সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ বালাগঞ্জ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ এনামুল হক এনাম পীর।
মামলাটি আমলে নিয়ে সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়কসহ ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির ৯ নেতার বিরুদ্ধে সমন জারি করে করেছেন আদালত।
আদালত কর্তৃক সমনপ্রাপ্ত বিএনপি নেতারা হলেন- সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার, সাবেক সহ-সভাপতি ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নূল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলাম ফারুক, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জরিদ আহমদ, নবগঠিত ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি দয়ামীর ইউপি চেয়ারম্যান এসটিএম ফখর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিসবাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক কয়েছ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমদ।
আদালতে মামলার পূর্বে গত শনিবার (১২ মার্চ) দলের ত্যাগী নেতাদের কৌশলে বঞ্চিত করে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করে উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠনের অভিযোগ এনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. এ জাহিদ হোসেনের নিকট লিখিত অভিযোগ প্রদান হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৬ বছর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গোপন ভোটের মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল সম্পন্ন করার জন্য পূর্ব থেকে সব রকমের প্রস্তুতি নেয় উপজেলা বিএনপি। সম্মেলনের দিন কতিপয় নেতার কূটকৌশলে গোপন ভোট না করে মনগড়াভাবে নিজ বলয়কে শক্তিশালী করতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পকেট কমিটি গঠন করা হয়।
গোপন ব্যালটে নির্বাচন না করে মৌখিকভাবে ভোটগ্রহণ করে ইচ্ছামতো ফলাফল ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি বিএনপির দলীয় আদর্শ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী হওয়ায় স্বচ্ছ ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দাবি জানালেও তা কর্ণপাত না করে কতিপয় নেতারা প্রকাশ্যে ইন্ধন জুগিয়ে ৪০ জন কাউন্সিলরের মৌখিক ভোটগ্রহণের অভিযোগ করা হয়।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসউদ আহমদ চৌধুরী মহসির আদালতে মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন। ঘোষিত কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের দলীয় সব কার্যক্রমে স্থগিত আদেশের দায়েরকৃত পৃথক আবেদনটি শুনানির জন্য রাখা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মালার বাদী সৈয়দ এনামুল হক এনাম পীর বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ ও তালিকা প্রণয়ন না করে উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে কতিপয় নেতা প্রকাশ্য টেবিলে বসে ভোটারদের প্রভাবিত করার মাধ্যমে নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছেন। এছাড়া দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির তিন মাস মেয়াদের ভেতর সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার কথা ছিল। জেলা ও উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। গঠনতন্ত্র পরিপন্থী তারা অবৈধভাবে কমিটি করায় আমি বাধ্য হয়ে শেষপর্যন্ত আদালতে মামলা করতে বাধ্য হয়েছি।
আইআর/১৫ র্মাচ