সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে শ্রেণীকক্ষে হিজাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি এই রায় দেন। তিনি বলেন, মুসলিম মহিলাদের জন্য হিজাব পরা অপরিহার্য ধর্মীয় রীতি নয়।
বহু প্রতীক্ষিত হিজাব মামলার রায়ের আগে রাজ্যের একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। রাজধানী বেঙ্গালুরুতেও পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
আবেদনকারীদের অভিযোগ ছিল, হিজাব নিষিদ্ধ করে ধর্ম পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। হিজাব পরা ইসলাম ধর্মে বাধ্যতামূলক। তবে আবেদনকারীদের সেই দাবিকে নাকচ করে দিল রাজ্যের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালত রায়ে বলেছে, স্কুল বা কলেজগুলির পূর্ণ অধিকার রয়েছে প্রতিষ্ঠানের ইউনিফর্ম নির্ধারণ করার।
এদিকে হিজাব মামলার রায়দানের আগের থেকেই কর্ণাটকের বিভিন্ন স্থানে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। রায়দান হতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেন, ‘আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই। আমি সকলের কাছে আবেদন করছি যে রাষ্ট্র ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, সবাইকে হাইকোর্টের আদেশ মেনে শান্তি বজায় রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের মৌলিক কাজ হল পড়াশুনা করা। তাই এসব বাদ দিয়ে তাদের পড়াশুনা করা উচিত এবং ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত।’
উল্লেখ্য, কর্ণাটকের বিভিন্ন কলেজে হিজাব নিষিদ্ধ হতেই হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছিলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে হিজাব পরিহিত কিছু মুসলিম মেয়েকে কর্ণাটকের উদুপির একটি সরকারি কলেজে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে একাধিক কলেজে একই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত কয়েকদিনে সেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। তারইমধ্যে একগুচ্ছ আবেদন দায়ের হয় হাইকোর্টে।
এর আগে কর্ণাটক হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব ও গেরুয়া শাল ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল।
আবেদনকারীদের তরফে তাদের আইনজীবী আনাস তনভির মামলার রায়ের পরই টুইট করে জানান, তারা শিগগিরই শীর্ষ আদালতে যাবেন। পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে হিজাব মামলায় ‘ধাক্কা’ খেলেও বিচার ব্যবস্থা এবং সংবিধানের প্রতি তার মক্কেলদে আস্থা অটুট রয়েছে বলে জানান তিনি।
টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘উদুপি হিজাবকাণ্ডে আমার মক্কেলদের সঙ্গে দেখা করলাম এই। ইনশা আল্লাহ শিগগির আমরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করব। ইনশা আল্লাহ আশা করছি এই শিক্ষার্থীরা হিজাব পরার অধিকার বজায় রেখে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে। এই মেয়েগুলো আদালত এবং সংবিধানের উপর নিজেদের আস্থা হারায়নি এখনও।’
আইআর/১৫ র্মাচ