সিলেট৭১ ডেস্ক:;:; গাজীপুরের টঙ্গীতে স্বামী ও সন্তান ফেলে পরকীয়ার টানে প্রেমিকের হাত ধরে নিরুদ্দেশ হয়েছেন এক নারী (২৩)। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় টঙ্গীর খাঁপাড়া এলাকায় বাবার বাসা থেকে উধাও হন তিনি।
ওই নারীর স্বামীর কাছ থেকে মেয়ের পরকীয়ার বিষয়টি জানতে পারেন তার বাবা। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বিষয়টি পশ্চিম থানায় অবহিত করেন। ওই নারীর ৫ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
ওই নারীর বাবা জানান, গত ২০১৫ সালে শেরপুরের মুচারচর গ্রামের দুলু মিয়ার ছেলে আলমের সঙ্গে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয় ওই নারীর।
বিয়ের দুই বছর পর তাদের সংসার আলো করে একটি পুত্রসন্তান জন্ম নেয়। স্বামী আলম নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের মদনপুরে একটি ইটভাটায় কাজ নেন। সেই সুবাদে তার স্ত্রী ও পুত্রসন্তানকে নিয়ে ইটভাটার পাশেই একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন তারা। একই ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন পারভেজ।
তিনি শেরপুর জেলার ঝগড়ার চরগ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে। পাশাপাশি বসবাসের সুবাদে আলমের স্ত্রীর সঙ্গে পারভেজের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তা পরকীয়ায় রূপ নেয়।
পারভেজের সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরই জের ধরে ওই নারী কিছু দিন আগে টঙ্গী খাঁপাড়া এলাকায় তার বাবার ভাড়া বাসায় বেড়াতে যান।
শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে তিনি কাউকে কিছু না বলে বাসা থেকে বের হন। যাওয়ার সময় বাবার জমানো নগদ ৩০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যান। বাসায় ফিরতে দেরি হওয়ায় আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনরা।
তবে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর থেকেই ওই নারী ও পারভেজের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে বলে জানান বাবা। যে কোনো মূল্যে তিনি তার মেয়েকে ফেরত চান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিএ/০৬ মার্চ