এর আগে মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ১৮ সংগঠনের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জায়েদ খানের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত নেন তারা।
জানা গেছে, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, চিত্রগ্রাহক সমিতির সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান মজনু এবং শিল্পী সমিতির আজীবন সদস্য অভিনেতা আলমগীর, নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, অভিনেত্রী নিপুণ, সাইমন সাদিকসহ চলচ্চিত্রের অন্য সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা। তবে গতকালের বৈঠকে জায়েদ খানকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নিলেও তখন খবরটি গোপন রাখা হয়।
বুধবার উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত ‘বয়কট’-র খবরটি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। বিকেলে আদালতের নির্দেশনা আসার পর এফডিসিতে ফের বৈঠকে বসে ১৮ সংগঠনের নেতারা। তখনই আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমের কাছে জায়েদ খানকে বয়কটের কথা জানানো হয়।
চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘জায়েদ আমাদের কোনো সংগঠনকে মানেন না। সিনিয়রদেরকেও সমীহ করেন না। যেহেতু তিনি নিজের মেজাজ-মর্জি অনুসারে চলেন তাই সংগঠনগুলোরও তাকে আর দরকার নেই। আমরা কেউই জায়েদের সঙ্গে কাজ করব না। যদি কোনো সংগঠনের কোনো সদস্য জায়েদের সঙ্গে কাজ করেন তাহলে সংশ্লিষ্ট সংগঠন সেই সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। দরকার পড়লে সদস্যপদও বাতিল করা হবে।’
এদিকে ১৮ সংগঠনের নেতারা ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের পর থেকেই জায়েদ খান ও এফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন। তাদের দাবি, এই দু’জনে যোগসাজশে নির্বাচনের দিন অন্য সংগঠনের কাউকে এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেয়নি। এছাড়া শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন ও জায়েদ খান ভোটকে প্রভাবিত করতে নানা অপতৎপরতা চালিয়েছেন বলেও তাদের দাবি করেন তারা। এ কারণে এর আগে পীরজাদা শহীদুল হারুনকেও নিষিদ্ধ করা হয়।
এবিএ/ ০৫ মার্চ