সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: ফেনী-নোয়াখালী সীমান্তের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে ছিনতাইকারী সন্দেহে স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্য।
আটকৃতরা হলেন- সোনাগাজী মডেল থানার এএসআই মো. জহিরুল হক, আদর্শগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল কাওছার ও আনোয়ার হোসেন।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১২টায় কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছোটধলি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ছোটধলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ বলেন, রোববার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশের তিন সদস্য আমার গতিরোধ করেন। এ সময় তল্লাশির নামে তিনটি পকেটে থাকা ৪৮ হাজার ৬০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। টাকা ফেরত চাইলে আমাকে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তখন আমি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে অটোসহ পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করেন।
কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ছোটধলি গ্রামে রাতে তিন পুলিশ সদস্যকে আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের সদস্যরা ব্যবসায়ীর কাছে থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। ওই টাকা উদ্ধার করে ব্যবসায়ীকে ফেরত দিয়েছি। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সোনাগাজী মডেল থানার ওসি ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।
স্থানীয়রা জানান, চর ইঞ্জুমান গ্রাম সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নের অন্তর্গত হলেও সেটির ভৌগোলিক অবস্থান নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে। সোনাগাজীর পুলিশ চর ইঞ্জুমানে যেতে চাইলে মুছাপুরের ছোটধলি গ্রামের ওপর দিয়ে যেতে হয়। ব্যবসায়ী ফরিদের সঙ্গে পুলিশের ঘটনাটির স্থান সোনাগাজী ও কোম্পানীগঞ্জের সীমানা এলাকায় হওয়ায় প্রায়ই সোনাগাজী মডেল থানার পুলিশের সঙ্গে ওই এলাকার জনসাধারণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম পলাশ বলেন, ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ সদস্যরা চরদরবেশ ইউনিয়নের চর ইঞ্জুমান গ্রামে টহলে যাওয়ার সময় ছোটধলী গ্রামের দোকানের সামনে শেখ ফরিদকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তল্লাশি করেন। এ সময় তিনি ভয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয় এলাকাবাসী পুলিশ সদস্যদের ঘেরাও করে রাখে। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনার পর ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়।
ফেনীর পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর