November 22, 2024, 2:20 pm

সংবাদ শিরোনাম :
সেইলরের নতুন পূজা কালেকশন সেজে উঠুন আপনিও রুদ্র নিহতের ঘটনায় সিলেটে মামলা, আসামি ৩ শতাধিক বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের পরিচয় আসাদুজ্জামান ও ওবায়দুল কাদেরর নিষেধাজ্ঞা দিতে আহ্বান মার্কিন কংগ্রেসের ৬ সদস্যের নোবেলজয়ী থেকে সরকার প্রধান কে এই ড. ইউনূসের বড়লেখাবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন সমাজসেবক সাইদুল ইসলাম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রবাস খাঁদে”পুলিশেরে সাহসী ভূমিকায় বেঁচে গেল ১১ টি প্রান” সিলেটে কমছে বন্যার পানি, বর্ষায় বাড়ছে রোগবালাই আগামীকাল সিলেট ফিরছেন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান বাজেটে বাড়ছে বিড়ি-সিগারেটের দাম প্রধানমন্ত্রী পদে মোদীকে সমর্থন নাইডু ও নীতিশের হুয়াওয়ের ‘উইমেন ইন টেক’ প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা সিলেটে অবৈধভাবে আসা ২ কোটি টাকার ভারতীয় চিনি জব্দ সিলেট মহানগর যুবলীগের ৪ নং ওয়ার্ড কমিটি গঠন”সভাপতি পদে শাকিল নির্বাচিত চোরাচালান লাইনম্যান রুবেল আহমদ বেপরোয়া জমির ধান নষ্ট করে দিলো প্রতিপক্ষ: দিশেহারা কৃষক সিলেটে ইট ভাটা নিয়ে নজিরবিহীন কেঙ্ককারী বিশ্ব গাজায় হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করছে, বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না : প্রধানমন্ত্রী সুজানগর ইসলামী সমাজকল্যাণ পরিষদের কমিটি গঠন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে উন্মুক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত মাওলানা লুৎফুর রহমানের মৃত্যু ”গুজব সংবাদ ফেসবুকে” বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বিজিবির নিয়ন্ত্রণে পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) পদে নিয়োগ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে সচিবদের :প্রধানমন্ত্রীর সিলেটে বিজয় দিবসে গানের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষ:নিহত-১ বইমেলা বাঙালি জাতিসত্তা দাঁড় করাতে সহায়ক : কবি নুরুল হুদা বন্ধুকে বিদেশ পাঠানোর সহযোগীতায় বন্ধু খুন দুর্নীতি-অনিয়ম র অভিযোগে ডৌবাড়ী প্রবাসী কল্যাণ ট্রাস্টের ৪ সদস্য বহিষ্কারের অভিযোগ ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী গোয়াইনঘাটের শীর্ষ কুখ্যাত চোরাকারবারী কালা মিয়া
মুসলিমদের জন্য মেরাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

মুসলিমদের জন্য মেরাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ

ইসলামে মেরাজ
ইসলামে মেরাজ

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেট৭১নিউজ ধর্ম ডেস্ক:: ইসলামে মেরাজ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন ‘তিনি পরম পবিত্র ও মহিমায়, যিনি রাত্রিযোগে আপন বান্দাকে মসজিদুল হারাম (সম্মানিত মসজিদ) থেকে মসজিদুল আকসা (দূরবর্তী মসজিদ) পর্যন্ত নিয়ে গেলেন, যার চারদিকে আমি বরকতমণ্ডিত করেছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাই, নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।’ (সূরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ১)।

এ আয়াতে বিশ্বনবির (সা.) রাত্রিকালীন সফর সম্পর্কে ব্যক্ত হয়েছে, যা অধিকাংশ তাফসিরকারকের মতে মেরাজ বলে পরিচিত। মেরাজের যে ঘটনা তা নবুওয়্যতের পঞ্চম বা ষষ্ঠ বছরে হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবনে ঘটেছিল। এ সময় মহানবির যে মেরাজ সংঘটিত হয়, তাতে তিনি বহু ঊর্ধ্বলোকে উপনীত হয়ে আল্লাহর জ্যোতিগুলোর বিকাশ প্রত্যক্ষ করেন। অপরদিকে মহান আল্লাহর জ্যোতিমালাও তার প্রিয় রাসূল (সা.)-এর দিকে অবতরণ করে। এভাবেই একদিকে আল্লাহর রাসূল (সা.) আল্লাহর দিকে অগ্রসর হন, অপরদিকে আল্লাহও অগ্রসর হন তার প্রিয় রাসূলের (সা.) দিকে। মানুষের পক্ষে যতটা আধ্যাত্মিক-উন্নতি অর্জন করা সম্ভব, তার সবটাই ঘটেছিল রাসূল (সা.)-এর মাঝে।

মহান আল্লাহর শক্তি ও মহিমার জ্যোতি যতটা মানুষের পক্ষে দেখা সম্ভব, তার সবটাই দেখেছিলেন আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় এ রাসূল (সা.)। এ মহামানবকে (সা.) যত বেশি করে আঁকড়ে ধরা যাবে, যত বেশি গভীরে যাওয়া যাবে তার শিক্ষার, তত বেশি করে মুক্তির স্বাদ পাওয়া যাবে, পাপ থেকে ততই বেশি মুক্তি পাওয়া যাবে। পবিত্র কুরআনের সূরা নযমে উল্লিখিত মেরাজের ঘটনার বর্ণনা সম্পর্কে যতই আমরা জ্ঞান অর্জন করব, ততই বোঝা সম্ভব হবে মেরাজের মাহাত্ম্য।

মেরাজের বর্ণনা সম্পর্কে মহানবি (সা.) নিজে বলেছেন, ‘একদা আমি কাবার ‘হাতিম’ অংশে সটান হয়ে শুয়েছিলাম। হঠাৎ একজন আগন্তুক আমার কাছে এলেন। তিনি আমার (বুক) এ স্থান থেকে এ স্থান পর্যন্ত বিদীর্ণ করলেন। এ ঘটনার বর্ণনা প্রসঙ্গে হজরত আনাস (রা.) বলেন, তিনি তার পাশে বসা (জনৈক সাহাবি) জারুদকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ স্থান থেকে এ স্থান পর্যন্ত’ এর অর্থ কী? তিনি (তার ব্যাখ্যা দিয়ে) বলেন, হলকুমের নিচ থেকে নাভি পর্যন্ত। অতঃপর তিনি (আগন্তুক) আমার হৃৎপিণ্ডটি বের করলেন। তারপর ইমানে পরিপূর্ণ একটা থালা আমার কাছে আনা হলো, অতঃপর আমার হৃৎপিণ্ডটাকে ধৌত করা হলো। তারপর তাকে ইমানে পরিপূর্ণ করে আবার আগের জায়গায় রাখা হলো। অতঃপর আকারে খচ্চরের চেয়ে ছোট ও গাধার চেয়ে বড় একটি শুভ্র জানোয়ার (বাহন) আমার সামনে হাজির করা হলো। তখন হজরত জারুদ (রা.) হজরত আনাস (রা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আবু হামযা! (আনাসের ডাক নাম) ওটাই কি বোরাক ছিল? হজরত আনাস (রা.) বললেন, হ্যাঁ, তার দৃষ্টি যতদূর যেত, সেখানে সে পা রাখত। অর্থাৎ তার পথ অতিক্রমের গতিবেগ ছিল দৃষ্টিশক্তির গতিবেগের সমান। নবি (সা.) বললেন, অতঃপর আমাকে তার ওপর আরোহণ করানো হলো।

তারপর জিবরাঈল আমাকে সঙ্গে নিয়ে (ঊর্ধ্বলোকে) যাত্রা করলেন এবং নিকটতম আসমানে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন। জিজ্ঞেস করা হলো, এ কে? জিবরাঈল বললেন, আমি জিবরাঈল। আবার জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে আর কে? তিনি বললেন, মুহাম্মাদ (সা.)। পুনরায় জিজ্ঞেস করা হলো, তাকে কি ডেকে পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন বলা হলো, তার প্রতি সাদর সম্ভাষণ। তার আগমন কতই না উত্তম। এরপর দরজা খুলে দেওয়া হলো। যখন আমি ভেতরে পৌঁছলাম, তখন সেখানে দেখতে পেলাম আদম (আ.)কে। বলা হলো, তাকে সালাম করুন। আমি তাকে সালাম করলাম। তিনি সালামের জবাব দিয়ে বললেন, নেককার পুত্র ও নেককার নবির প্রতি সাদর সম্ভাষণ।

অতঃপর জিবরাঈল (আ.) আমাকে নিয়ে আরও ঊর্ধ্বে আরোহণ করতে লাগলেন এবং দ্বিতীয় আসমানে পৌঁছে দরজা খুলতে বললেন।… তারপর জিবরাঈল আমাকে নিয়ে তৃতীয় আসমানে উঠলেন এবং দরজা খুলে দিতে বললেন।…তারপর জিবরাঈল আমাকে নিয়ে আরও ঊর্ধ্বলোকে যাত্রা করলেন এবং চতুর্থ আসমানে এসে দরজা খুলতে বললেন।…তারপর জিবরাঈল আমাকে নিয়ে আরও ঊর্ধ্বলোকে যাত্রা করলেন এবং পঞ্চম আসমানে এসে দরজা খুলতে বললেন।…তারপর জিবরাঈল আমাকে সঙ্গে নিয়ে আরও ঊর্ধ্বলোকে উঠতে শুরু করলেন এবং ষষ্ঠ আসমানে এসে দরজা খুলতে বললেন।…তারপর দরজা খুলে দিলে আমি যখন ভেতরে প্রবেশ করলাম, তখন সেখানে মূসাকে (আ.) দেখতে পেলাম। জিবরাঈল (আ.) বললেন, ইনি হলেন মূসা (আ.), তাকে সালাম করুন। আমি তাকে সালাম করলাম। আমি তাকে সালাম করলে তিনি তার জবাব দিলেন এবং বললেন, নেককার ভাই ও নেককার নবির প্রতি সাদর সম্ভাষণ। অতঃপর আমি যখন তাকে অতিক্রম করে অগ্রসর হলাম তখন তিনি কাঁদতে লাগলেন। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি এ জন্য কাঁদছি যে, আমার পরে এমন একজন যুবককে (নবি বানিয়ে) পাঠানো হলো, যার উম্মত আমার উম্মতের চেয়ে অধিক সংখ্যায় জান্নাতে প্রবেশ করবে।

তারপর জিবরাঈল (আ.) আমাকে নিয়ে সপ্তম আসমানে আরোহণ করলেন। অতঃপর জিবরাঈল দরজা খুলতে বললে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনার সঙ্গে আর কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ (সা.)।…তারপর আমি যখন ভেতরে প্রবেশ করলাম, তখন সেখানে ইবরাহিম (আ.)কে দেখতে পেলাম। তিনি বললেন, ইনি আপনার পিতা ইবরাহিম (আ.), তাকে সালাম করুন। আমি তাকে সালাম করলে তিনি তার উত্তর দিলেন এবং বললেন, নেককার পুত্র ও নেককার নবির প্রতি সাদর সম্ভাষণ।

তারপর আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত ওঠানো হলো।

জিবরাঈল বললেন, এটাই সিদরাতুল-মুনতাহা। আমি আরও দেখতে পেলাম চারটি নহর। দুটি নহর অপ্রকাশ্য আর দুটি প্রকাশ্য। আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে জিবরাঈল! এ নহরের তাৎপর্য কী? তিনি বললেন, অপ্রকাশ্য নহর দুটি হলো জান্নাতে প্রবাহিত দুটি ঝর্ণাধারা, আর প্রকাশ্য দুটি হলো মিসরের নীল নদ ও বাগদাদের ফুরাত (ইউফ্রেটিস) নদী। তারপর আল বায়তুল মামুর ঘরটি আমার সামনে পেশ করা হলো। অতঃপর আমার সামনে হাজির করা হলো এক পাত্র মদ, এক পাত্র দুধ ও এক পাত্র মধু। এর মধ্য থেকে আমি দুধ গ্রহণ করলাম এবং তা পান করলাম। তখন জিবরাঈল (আ.) বললেন, আপনি এবং আপনার উম্মত যে ইসলামরূপী স্বভাবজাত ধর্মের অনুসারী, এটা তারই নিদর্শন।

তারপর আমার ওপর দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হলো এবং আমি ফিরে চললাম। হজরত মুসা (আ.)-এর সম্মুখে দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি আমাকে বললেন, কী করতে আদেশ করা হয়েছে? আমি বললাম, দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ করা হয়েছে। তিনি বললেন, আপনার উম্মত দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ সম্পাদনে সক্ষম হবে না। আপনি আপনার রবের কাছে ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের পক্ষে নামাজ আরও হ্রাস করার জন্য আবেদন করুন। তখন আমি ফিরে গেলাম এবং ওইভাবে প্রার্থনা জানালে আল্লাহ আমার ওপর থেকে দশ ওয়াক্ত নামাজ কমিয়ে দিলেন।…আমি আবার ফিরে গেলে আমাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ করা হলো। আমি মূসার কাছে আবার ফিরে এলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আপনাকে সর্বশেষ কী করতে আদেশ করা হলো? আমি বললাম, আমাকে দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আদেশ করা হয়েছে। আপনার উম্মত প্রত্যহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সমাপণে সক্ষম হবে না। আপনার

আগে আমি (ইসরাইল) লোকদেরকে বিশেষভাবে পরীক্ষা করে দেখেছি এবং তাদের হেদায়াতের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা ও কষ্ট স্বীকার করেছি। তাই আমি বলছি, আপনি আপনার রবের কাছে ফিরে যান এবং আপনার উম্মতের জন্য নামাজ হ্রাস করার প্রার্থনা জানান। নবি (সা.) বললেন, আমি আমার রবের কাছে এত অধিকবার প্রার্থনা জানিয়েছি, আবার প্রার্থনা জানাতে আমি লজ্জাবোধ করছি। বরং আমি এতটুকুতেই সন্তুষ্ট ও আনুগত্য প্রকাশ করছি। নবি (সা.) বলেন, আমি যখন মূসাকে অতিক্রম করে সামনে অগ্রসর হলাম, তখন জনৈক আহ্বানকারী আমাকে আহ্বান জানিয়ে বললেন, আমার অবশ্য-পালনীয় আদেশটি আমি জারি করে দিলাম এবং আমার বান্দাদের জন্য আদেশটি লঘু করে দিলাম।’ (সহিহ বোখারি, কিতাবুল মানকিব, ৩য় খণ্ড)।

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে মেরাজের প্রকৃত শিক্ষার ওপর আমল করার এবং এর তাৎপর্য বুঝার তাওফিক দান করুন, আমিন।

মাহমুদ আহমদ
লেখক : ইসলামি গবেষক ও কলামিস্ট
সংগ্রহ:যুগান্তর





Calendar

November 2024
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  



  1. © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2017 sylhet71news.com
Design BY Sylhet Hosting
sylhet71newsbd