হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃঃ জাতীয় পতাকা শুধু একটি কাপড় নয়। এটি দেশের স্বাধীনতার প্রতীক। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাস আবেগের। পাকিস্তানিরা রাইফেল তাক করে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ বলতে বলেছে। সেই মুহূর্তে ওপাশের মানুষটি মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়ে বুকের ওপর রক্ত দিয়ে জাতীয় পতাকার লাল বৃত্ত অঙ্কন করে বলেছেন ‘জয় বাংলা’। মুক্তিযুদ্ধের সময় এমনটা বহুবার ঘটেছে। আমাদের জাতীয় পতাকা এতোটাই শক্তিশালী যে, তখন মৃত্যুর আগ মুহূর্তে শেষ আশ্রয় ছিল লাল-সবুজ পতাকা! লাল-সবুজে মিশে রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। এ পতাকা পুরো দেশকে ধারণ করেছে তার বুকে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাসের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জড়িয়ে রয়েছে বলেই এর প্রতি আমাদের আবেগটাও অন্যরকম।
কিন্তু যখন এই পতাকাকে কেউ অসম্মান করে বা যথাযথ মর্যাদা দেয় না তাতে ব্যথিত হয় সচেতনসহ সাধারণ মানুষ। অনেকে আবার অসম্মানকারীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহও ঘোষণা করে। তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য সাধারণ কোন মানুষ কিংবা বাসা-বাড়ি নয় খোঁদ হবিগঞ্জ শহরের সরকারী দুটি দপ্তরে রাতের বেলায়ও উড়তে দেখা গেছে জাতীয় পতাকা। যা নিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মনে দেখা দিয়েছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ভবনের ছাদে ও শহরের কোরেশনগর এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিসংখ্যান অফিস উপ-পরিচালকের কার্যালয়ে এই পতাকা উড়তে দেখা যায়।
ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় জনসাধারণ বলছেন, দপ্তর দুইটি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদাসীনতার জন্যই জাতীয় পতাকার এ অবমাননা করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলছেন, প্রতিটি জাতীয় দিবসেই জাতীয় পতাকার সঠিক ব্যবহার ও নিয়ম কানুন নিয়ে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ তৎপর থাকেন। অনেক সময় আবার ব্যবসায়ীদের করা হয় জরিমানাও। কিন্তু খোদ সরকারী দপ্তরেই যদি এমনটা হয় তা হলে বলার কিছু থাকে না। অনেকে আবার ওই দুই অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আমিনুল হক সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এমনটা হওয়ার কথা না, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
বিএ/২৩ ফেব্রুয়ারি