সিলেট৭১ ডেস্ক:: কক্সবাজারের চকরিয়ায় পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রক্তিম সুশীল। এ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৬ ভাইয়ের।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তিনি চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
দুর্ঘটনার পর প্রথমে তাকে চমেক হাসপাতালে সেখান থেকে ম্যাক্স হাসপাতাল হয়ে জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে গত ৫ দিন আগে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় রক্তিম সুশীল আহত হয়েছিলেন।
চমেকের আইসিইউ বিভাগের চিকিৎসক ডা. হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ১০টার দিকে রক্তিম সুশীলের মৃত্যু হয়েছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারলাম না।
রক্তিমের শ্যালক অনুপম শর্মা বলেন, জামাইবাবু মারা গেছেন। আমারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আমার বোন ও ভাগ্নের কী হবে এখন?
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে বাবার শ্রাদ্ধ শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে পিকআপ ভ্যানের চাপায় পাঁচ ভাই নিহত হন। ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে নেয়ার পর অপরজন মারা যান।
ঘটনাস্থলে নিহত চারজন হলেন, ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিনা পাড়া এলাকার মৃত ডা. সুরেশ চন্দ্র শীলের ছেলে ডা. অনুপম শীল (৪৬) এবং তার তিন ভাই নিরুপম শীল (৪০), দীপক শীল (৩৫) ও চম্পক শীল (৩০)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যান স্মরণ সুশীল (৩২) নামের আরও এক ভাই।
দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রক্তিম শীল ও হীরা শীল। তাদের দুইজনের মধ্যে থেকে রক্তিম শীল নামে আরও এক ভাই মঙ্গলবার সকালে মারা যান।
এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতদের আরেক ভাই প্লাবন চন্দ্র শীল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পিকআপভ্যান চালককে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলা করেন। পরে ঢাকা থেকে চালককে র্যাব গ্রেপ্তার করে জানিয়েছিল, ঘন কুয়াশার কারণে পিকআপ চালক রাস্তায় দেখতে না পেয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটায়।
এবিএ/২২ ফেব্রুয়ারী