সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: সিলেটে ব্যবসায়ীকে মারধর করে আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই ও ব্যবসায়ীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এ দুজনকে গ্রেফতার করে সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়ির একদল পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন- সিলেট নগরীর বারুতখানা এলাকার গোলাম নবীর ছেলে খোকন মিয়া (৩৩) ও নগরীর ধোপাদিঘীরপারের আল-ফালাহ কমপ্লেক্সের বাসিন্দা হারুনুর রশিদের ছেলে মো. হেলেম মিয়া (৩১)। গ্রেফতারের পর তাদের কারাগারে প্রেরণ করেছন আদালত।
এর আগে এ দুজনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন সিলেট নগরীর লালদীঘির পাড় আলীবেগ লেন-এর বাসিন্দা ও মৌলভী মরহুম মো. হোসেনের ছেলে মো. ইব্রাহিম মিয়া। কোতোয়ালি সিআর মামলা নং ২২১/২০২২।
মামলায় উল্লেখ, নগরীর লালদীঘিরপাড়ের আলী বেগ লেনে মো. ইব্রাহিম মিয়ার ৩টি পাইকারি কাপড়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার ব্যবসায়ীক সফলতা দেখে বেশ কয়েকদিন থেকে খোকন মিয়া ও মো. হেলেম মিয়া এবং তাদের সহযোগিরা ইব্রাহিমের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। কিন্তু তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে ইব্রাহিম মিয়া অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইব্রাহিম দোকান লাগিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে লালদীঘিরপাড় ছোট গল্লির মুখে আসামাত্র খোকন মিয়া, হোলেম মিয়া তাদের সহযোগী ইউনুছ মিয়া, মো. আলামিন, মো. আলামিনসহ অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জন তার উপর হামলা করেন। এসময় ইব্রাহিমকে হামলাকারীকে বেধড়ক মারতে থাকেন এবং লোহার পাইপ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। এছাড়াও হত্যার উদ্দেশে ইব্রাহিমের গলায় আসামিরা চাপ দিয়ে ধরেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে ইব্রাহিমের আর্তচিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ১৭ ফেব্রুয়ারি সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন ইব্রাহিম মিয়া। মামলায় গ্রেফতারকৃত দুজন ছাড়াও সিলেট নগরীর গুলিস্তান মার্কেটের বাসিন্দা হারুনুর রশিদের ছেলে ইউনুছ মিয়া (৩৫), নরসিংদী জেলার নরসিংদী সদর থানার আলীপুর গ্রামের মো. সমছু মিয়ার ছেলে মো. আলামিন (২৫) ও একই থানার বাহেরচর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে মো. আলমগীরকে (২৭) আসামি করা হয়।
মামলা দায়েরের দিনই অভিযান চালিয়ে মামলার দুই আসামি খোকন মিয়া ও মো. হেলেম মিয়াকে গ্রেফতার করে বন্দরবাজার ফাঁড়ির একদল পুলিশ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ সিলেটভিউ-কে বলেন, আদালতে দায়েরকৃত মামলাটি আমাদের কাছে প্রেরণের পর দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
আইআর/১৯ ফেব্রুয়ারি