নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কুচাইয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালককে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কুচাই গ্রামের পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাবুদ্দিন আহমদ সাবুল (৪৫) ওই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ আখন মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় শাহাবুদ্দিন আহমদ সাবুল তাঁর নিজ ঘরের সামনের কয়েকটি গাছ কাটেন। এই গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে তার উপর হামলা চালান পাশের ঘরের ময়না মিয়ার ছেলে বদরুল, মালই, নজরুল, ফখরুলসহ তাদের পরিবারের লোকজন। এ সময় তারা সাবুলকে লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। মাথা ফেটে সাবুলের রক্ত ঝরতে থাকলে ঘটনাস্থলে নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এ সময় হামলায় সাবুলের মা নেওয়া বেগমও আহত হয়েছেন।
নিহতের ভাগনী কুচাই ইছরাব আলী হাই স্কুল ও কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী নিহা জানায়, তার মামা নিজ প্রয়োজনে ঘরের সামনের কয়েকটি গাছ কাটেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোক বদরুল, মালই, নজরুল, ফখরুল এবং বদরুলের ছেলে কামরান, কামরুল ও মেয়ে মুন্নি, মালইর ছেলে ইমন, মেয়ে ফাহিমা, ফখরুলের ছেলে-মিজান, সুমেল, মুয়াজ, হাসানসহ অন্যরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে তার ছোটমামা সাবুলের উপর হামলা চালায়। আহতবস্থায় তাৎক্ষণিক সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী সেফালি বেগম বলেন, ‘আমার দুই ছেলে ও এক মেয়ে এতিম হয়ে গেল। আমি হয়েছি বিধবা। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই। কী অপরাধ ছিলো আমার স্বামীর? তিনি একজন সাধারণ সিএনজি অটোরিকশাচালক ছিলেন। তার বড়ভাই তাজুল একজন প্রতিবন্ধী। আমরা অসহায়, আমরা এই নির্মম হত্যার বিচার চাই। আসামিদের ফাঁসি চাই। ’
ঘটনাস্থলে থাকা মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা জানান, এ ঘটনায় কামরুল, বদরুল, মালই, মুন্নি, ফাহিমাকে তাৎক্ষণিক পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি দা, রড, কুড়াল এবং লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য আলামত উদ্ধারে অভিযান চলছে। লাশ ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এবিএ/১৮ ফেব্রুয়ারী