সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে একটি ওষুধের দোকান থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর ছয় টুকরা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ঢাকা থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মামলার আসামি জিতেশ গোপকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিআইডির পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।
গত বৃহ¯পতিবার দুপুরে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের আবদুল মতিন মার্কেটের অভি ফার্মেসির ভেতর থেকে শাহানাজ পারভীন (৪০) নামের ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
রাতে জগন্নাথপুর থানায় জিতেশ গোপকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই হেলাল মিয়া। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার বেলা তিনটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে বিকাশ এজেন্ট থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলে অভি ফার্মেসিতে যান শাহানাজ পারভীন। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাকে না পেয়ে ওই ফার্মেসিতে গিয়ে খোঁজ করেন পরিবারের সদস্যরা। এ সময় ফার্মেসিমালিক বলেন, বিকেলে এসে তিনি ওষুধ না পেয়ে চলে গেছেন। শাহানাজ সব সময় ওই ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতেন। ফার্মেসিমালিক জিতেশ গোপ একেকবার একেক কথা বলায় তাঁদের সন্দেহ হয়। একবার তিনি বলেন, শাহানাজ পারভীন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চতুর্থ তলার ৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি আছেন। সেখানে খোঁজ করে তাঁকে না পেয়ে পরিবারের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়।
জগন্নাথপুর বাজার তদারক কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিহত নারী আমার আত্মীয়। গত বুধবার বিকেলে ওষুধ কেনার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হন। রাতে আমরা জানতে পারি তাঁকে ফোন দিয়ে ফার্মেসিতে ডেকে নেন ফার্মেসিমালিক জিতেশ গোপ। এরপর রাতেই ফার্মেসিমালিকের বাসায় গিয়ে ডাকাডাকি ও মুঠোফোনে কল করলে তিনি দরজা খোলেননি। ভোরে তার স্ত্রী জানালা খুলে বাসার সামনে আমাকে দেখে আবার জানালা বন্ধ করে দেন। এ সময় জিতেশ গোপ আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, নিখোঁজ নারীকে নিয়ে তিনি উপজেলার ভবেরবাজার এলাকায় আছেন, সেখানে যাওয়ার জন্য। আমি ভবেরবাজারে গেলে সেই সুযোগে জিতেশ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে যান।
এবিএ/১৮ ফেব্রুয়ারী