কমলগঞ্জ প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীর বসতঘর আগুনে পুড়ে ঘরহারা নারীর পাশে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা নিয়ে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। বৃহস্পতিবার (ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৩টায় শমশেরনগর ভাদাইর দেউল গ্রামে এ সহায়তা দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিধবা নারী নুরজাহানের একমাত্র উপার্জনকারী ছেলে রং মিস্ত্রি নুর ইসলাম মোল্লা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ১২দিনের মধ্যে রাতে তার বসত ঘরে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে। প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। ঘটনার পর থেকে খোলা আকাশের নিচে ছিলেন বিধবা নারী নুরজাহান বেগম।
মানবিক প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক ক্ষতিগ্রস্থ নারীর বাড়ীতে গিয়ে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা ও বিভিন্ন সামগ্রীর মনন্বয়ে দুই বস্তা শুকনো খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ, নারী সদস্য শারমিন বেগম চৌধুরী ও সদস্য দিলদার আহমেদ। এ সময় শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ বলেন, ফুলতলী ট্রাষ্ট থেকে এ স্থানেই শীঘ্রই একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, গণমাধ্যমে এ মানবিক প্রতিবেদন পড়েই এ অসহায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে দেখতে এসেছি। রেলওয়ের বন্দোবস্তকৃত ভূমিতে তাদের জন্য কমপেক্ষ ৫ শতক খাস জমি বের করে বসতঘর করে দেওয়া হবে। এ দায়িত্ব নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হককে দেওয়া হয়েছে।
এবিএ/১৭ ফেব্রুয়ারী