শাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃঃ উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলা আন্দোলনের কারণে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্বাভাবিক শিক্ষা-কার্যক্রমে স্থবিরতা ছিল। স্থবিরতা কাটিয়ে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক শিক্ষা-কার্যক্রমে ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস নেওয়া হয়। গতকাল সবগুলো হল খুলে দেওয়া হয়। যদিও হল বন্ধের নির্দেশ না মেনেই হলে অবস্থান করছিলেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে শিক্ষার্থীদের ১৬৩ ঘণ্টা অনশনের পর গত ২৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল সরকারের কাছ থেকে আশ্বস্ত হয়ে ক্যাম্পাসে আসেন। তিনি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙান। সেসময় তিনি শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘দাবি আদায় করা হবে মর্মে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।’ এরপর সাংস্কৃতিক কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল শিক্ষার্থীরা। পরে সংকট নিরসনে সিলেট যান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের সঙ্গে সভা করেন তিনি। পরের দিন উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। ওই দিন বিকেলেই আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে আন্দোলন থেমে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক শিক্ষা-কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছেন উপাচার্য নিজেও। গত সোমবার ইউজিসি আয়োজিত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে উচ্চশিক্ষায় ব্লেন্ডেড শিক্ষা পদ্ধতি সংক্রান্ত মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ক উপ-কমিটির এক সভায়ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ফরিদ উদ্দিন আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।
বিএ/১৬ ফেব্রুয়ারি