কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি;: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভোলাগঞ্জ-দয়ারবাজারসহ তিনটি রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পৃথক তিনটি রাস্তার সংস্কারে ব্যয় হবে প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ তিনটি রাস্তার সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন।
নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো: শাহ আলম জানান, বন্যা ও দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হবে ভোলাগঞ্জ-দয়ারবাজার-ভাটরাই-হাদারপাড় জিসি সড়ক পুনর্বাসন কোম্পানীগঞ্জ অংশ। রাস্তাটির দৈর্ঘ্য প্রায় তিন কিলোমিটার। এতে ব্যয় হবে ১৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
এছাড়া, গ্রামীণ সড়ক, সেতু ও কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা হেড কোয়ার্টার(আরএইচডি)-কাঁঠালবাড়ি-পাড়ুয়া বাজার জিসি সড়ক এবং হায়দরী বাজার (জিসি)-পিকে হাইস্কুল-দরাকুল(আরএইচডি) সড়ক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এ দুটি রাস্তা সংস্কারে যথাক্রমে ২ কোটি ৭ লাখ টাকা এবং ৪৭ লাখ ২৬ হাজার টাকা ব্যয় হবে। উভয় রাস্তার দৈর্ঘ্য এক কিলোমিটার করে।
এলাকাবাসী জানান, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ভোলাগঞ্জ-দয়ারবাজার সড়কটি নির্মাণ ও পাকাকরণ হয়। এরপর দীর্ঘ তের বছরেও এই সড়কের কোনো কাজ করা হয়নি। মাঝে-মধ্যে স্থানীয়দের উদ্যোগে সড়কের বিভিন্ন অংশে বালু, ইট-পাথরের টুকরা ফেলা হয়। তাতে কিছুদিনের জন্য চলাচলের উপযোগী হলেও পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সদরের সঙ্গে পূর্ব ইসলামপুর ও উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের অর্ধ লক্ষ মানুষের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই সড়ক। সড়কে পাথর বহনকারী বহু ট্রাক-ট্রাক্টরসহ সিএনজিচালিত অটোরিক্সা, মালবাহী পিকআপ ও মোটরসাইকেল চলাচল করে। এ রাস্তা দিয়ে কলাবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় এবং ভাটরাই উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও চলাচল করতে হয়। কিন্তু, গত তের বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কারবিহীন। এ কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। রাস্তা দিয়ে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সও চলাচল করতে পারে না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান। এ অবস্থায় এলজিইডি রাস্তাটি সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে।
আইআর/১৫ ফেব্রুয়ারি