শাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃঃ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের সময় লেখা বিভিন্ন দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি মুছে ফেলা হবে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে প্রতিবাদ হিসেবে লেখা বিভিন্ন ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান ও গ্রাফিতি মুছে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছেন। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।
মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশের সময় ফটকের সামনের দেয়ালে উপাচার্য বিরোধী ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান ও গ্রাফিতি দেখতে পান শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় তিনি এসব মুছে ফেলার নির্দেশনা দেন। তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনাকালেও এই নির্দেশনা দেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার সকালে দেয়াললিখন মুছতে গেলে বাঁধা দেয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বাঁধার মুখে দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি মুছে ফেলা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।এ বিষয়ে মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দেয়াললিখন মুছে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। তা করতে গেলে কিছু শিক্ষার্থী এসে বাধা দেন। পরে তাঁরা দেয়াললিখন মুছে ফেলার কাজ বন্ধ রাখেন।’ দেয়াল লিখন মুছে ফেলার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সামিউল এহসান শাফিন বলেন, ‘এতো সুন্দর দেয়াললিখনগুলো মুছে দিয়ে ওঁরা বলতে চাচ্ছে তোমাদের মাথা নত করেই থাকতে হবে। আমরা কি সেটাই করব?’
আরেক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন বলেন, ‘দেয়াললিখন শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের একটি মাধ্যম। পুলিশের হামলার পর থেকে আন্দোলনের প্রতিটি মুহূর্তের সাক্ষী এসব দেয়াললিখন। এ ছাড়া অন্যায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী করে তুলতে দেয়াল লিখনের কথাগুলো ভূমিকা পালন করেছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোরুল ইসলাম জানান, শিক্ষামন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা দিয়েছে। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে লেখা ব্যঙ্গাত্মক দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি মুছে ফেলা হচ্ছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ স্বাভাবিক করার নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তারই অংশ হিসেবে বিভিন্ন দেয়াললিখন ও গ্রাফিতি মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বিএ/১৩ ফেব্রুয়ারি