সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: কক্সবাজারের সড়ক দুর্ঘটনা পাঁচ ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় পিকআপ চালক সহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে আটক সাইফুল গাড়ি চাপা দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পিকআপ চালক সহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুলকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল গাড়ি চাপা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। র্যাব জানায়, অনেক কুয়াশা থাকার সত্ত্বেও সবজি ডেলিভারি দেয়ার জন্য সাইফুল বেপরোয়া গতিতে পিকআপটি চালাচ্ছিল। এর জন্য দূর থেকে সাইফুল অপেক্ষারতদেরকে লক্ষ্য করতে পারেনি।
গাড়ির অধিক গতি থাকায় কাছাকাছি এসে লক্ষ্য করলেও গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। দুর্ঘটনার সময় চালকের সাথে পিকআপ মালিকের ছেলে তারেক ও ভাগনে রবিউল ছিল বলেও জানান তিনি। গাড়ির মালিক মাহমুদুল ও তার ছেলে তারেক পলাতক রয়েছেন।
র্যাবের লিগাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দুর্ঘটনাটিতে যারা আহত হয়েছেন তারাও একই পরিবারের সদস্য। তাদের পরিবারের অন্য আরেক ভাই, যিনি এখনও কিছুটা সুস্থ আছেন, নাম প্লাবন চন্দ্র সুশীল, তিনি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাতে অজ্ঞাতনামা একজন পিকআপ চালককে আসামি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৮ ফেব্রুয়ারি, আনুমানিকভাবে ভোর ৫টায়। এবং সেখানে গাড়িটিকে শনাক্ত করা যায়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা গেছে, গাড়িটির রং চালক, এসব পরিষ্কার হওয়া যায়নি তখন।
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, পরিবারটির সকল সদস্য তাদের পিতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, যেটাকে বলা হয় শ্রাদ্ধ্য, সেখানে যাচ্ছিলেন। এই শ্রাদ্ধ্যের অংশ হিসেবে তারা ৭ ভাই ও ২ বোন সকালে পূজা করে রাস্তা পার হওয়ার জন্য রাস্তার পাশে অপেক্ষা করছিলেন। ৮ ফেব্রুয়ারি এই দুর্ঘটনার ঠিক ১০ দিন আগে তাদের পিতা সুরেশ চন্দ্র সুশীল স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
আইআর/১২ ফেব্রুয়ারি