জৈন্তাপুর প্রতিনিধি;: সিলেটের জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হরিপুর বাজারের মোবাইল ফোনের দোকান চুরির ঘটনায় দুটি অভিযানে চোর আটক করে এবং ৫টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে রাতে হরিপুর বাজারের আল মক্কা ফোন সেন্টারে চুরির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জৈন্তাপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমেদ নির্দেশনায় উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. দিদারুল আলম দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে গত ৩ ফেব্রুয়ারি অভিযান পরিচালনা করে পীরের বাজার হাউজিং এলাকার বর্তমান বাসিন্দা সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার সোয়াপুর গ্রামের মো. সোহেল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলী (১৯) কে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। ধৃত আসামী মোহাম্মদ আলী চুরির ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারয় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি দেয়।
ধৃত আসামী মোহাম্মদ আলী দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৯ ফেব্রুয়রি দিবাগত রাত ২.৩০ মিনিটে জৈন্তাপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমেদ নির্দেশ উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. দিদারুল আলম ও শফিক মিয়ার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে সিলেট এসএমপির শাহপরান থানাধীন আটগ্রাম (পীরেরচক হাজী ভিলা রোড) গ্রামের বাসিন্দা মৃত রফিক মিয়ার ছেলে জালাল আহমদ (২৮) তার ছোট ভাই আলাল উরফে বিলাল (২০) কে আটক করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উপজেলার হরিপুর বাজারে আল মক্কা ফোন সেন্টারে চুরির ঘটনা স্বীকার করেন। পুলিশ তাদের তিন জনের নিকট হতে ৫টি মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
পুলিশ আরও জানান প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত যাচাই বাছাই করতে গিয়ে এই চুরির ঘটনায় তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তিনজন আটক করা কে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন সহ আটককৃত শিক্ষার্থীরা চুরির ঘটনায় জড়িত নয় মর্মে তাদের মুক্তির দাবীতে এবং প্রকৃত ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য দাবী জানায়।
মানব বন্ধনের পর পুলিশ ঘটনাকে চ্যালেঞ্জিং হিসাবে গ্রহণ করে এবং দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে চুরির ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে এবং আল মক্কা সেন্টারের সিসিটিভির ফুটেজের প্রকৃত চোর সহ তার সহযোগীদের আটক করতে সক্ষম হয়।
জৈন্তাপুর মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, আল মক্কা ফোন সেন্টারে চুরির ঘটনাটি আমরা চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করি। সেই মোতাবেক দীর্ঘ সময় নানান কলা কৌশল এবং সর্বক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আমরা চুরির প্রকৃত রহস্য সহ চোরদের আটক করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের কাছ হতে ৫টি চুরি হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করি এবং তাদের আদালতে সোপর্দ করি। আটককৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে চুরির ঘটনা স্বীকার করে।
আইআর/১০ ফেব্রুয়ারি