হবিগঞ্জ প্রতিনিধি;: হবিগঞ্জে পুলিশ এসল্ট মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গউছসহ ৪০ নেতাকর্মীকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছির আরাফাত।
গত ২২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ শহরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর জেলা পরিষদ ভাঙচুরের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি দায়ের করা মামলায় ৪০ বিএনপি নেতাকর্মীক শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) সনক কান্তি দেব।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা ও তার মুক্তির দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর দুপুরে হবিগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। এতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ বাঁধা দিলে নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন ও অন্যদিক থেকে পুলিশ টিয়ার শেল এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর ৬৫ জনের নাম উল্লেখসহ প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাসান। পরে ৪ জানুয়ারি হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ ভাঙচুরের অভিযোগে ৪শ নেতাকর্মীর নামে আরেকটি মামলা দায়ের করেন এ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী আব্দুর রউফ। দুইটি মামলার আগে ও পড়ে পুলিশ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল।
এরপর ৫ জানুয়ারি উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন সাবেক মেয়র জিকে গউছসহ ৪০ নেতাকর্মী। জামিনের মেয়াদ শেষে পহেলা জানুয়ারি তারা নিম্ন আদালতে উপস্থিত হয়ে পুনরায় জামিনের আবেদন করলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৪০ জন নেতাকর্মীর মধ্যে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল সেলিমও রয়েছেন।
আইআর/১০ ফেব্রুয়ারি