সিলেট৭১নিউজ ডেস্কঃঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তিতে বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), রেজিস্ট্রার ও কলা অনুষদের ডিন বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ২০২০-২১ সেশনে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থী মোহাইমিনুলের পক্ষে ওই নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম নোমান হোসাইন তালুকদার। তিন দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে উচ্চ আদালতে রিট করার ঘোষণা দেন তিনি।নোটিশে বলা হয়, কোটা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বিষয় পর্যায়ক্রমের ফরমে পছন্দের বিষয়টি সর্বনিম্নটি হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের দেওয়া হবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সাক্ষাৎকারের দিন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জন্য এই শিক্ষার্থীকে মনোনীত করা হয়। যদিও তার বিষয় পছন্দক্রম ফরমে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়টিই ছিল না। অন্য বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটার আসন খালি থাকার পরেও তাকে এ বিষয়ে ভর্তি হতে বলা হয়।এতে আরও বলা হয়, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণির খ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ১১৯টি আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু বিভিন্ন কারণবশত উপরের মেধাক্রমের কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে ফাঁকা আসনে পছন্দক্রমের বিষয় অনুযায়ী ভর্তি অথবা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের সুযোগদানের জন্য মৌখিক ও লিখিত আবেদন করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা অগ্রাহ্য করে। যদিও সাধারণ কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা পেয়ে থাকেন।
নোটিশে পছন্দক্রমের সর্বনিম্ন বিষয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দকৃত ১১৯টি আসন পূর্ণ ও অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়।ওই শিক্ষার্থীর পক্ষে নোটিশ পাঠানো আইনজীবী এম নোমান হোসাইন তালুকদার বলেন, আমার মোয়াক্কেল পছন্দক্রমে ১৪টি বিষয় উল্লেখ করেছিলেন। প্রশাসন মৌখিকভাবে জানিয়েছে এগুলোতে সিট ফাঁকা নেই। তাই ফারসি ভাষা ও সাহিত্যে তাকে মনোনীত করা হয়। যদিও বিষয়টিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কেননা বিজ্ঞপ্তিতে পছন্দক্রম থেকেই ভর্তি নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তারপরও আমার মোয়াক্কেল বিষয়টি মেনে নিয়ে পরবর্তীতে কোটার ১১৯টি আসনের মধ্যেই মাইগ্রেশনের আবেদন করেন। কেননা ওই আসনগুলোতে সব শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তা সরাসরি অগ্রাহ্য করে। অথচ সাধারণ কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের এ সুযোগ আছে। আমরা মনে করছি, এটা বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত। তাই এ সমস্যা সমাধানে প্রশাসনকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছি।
বিএ/৯ ফেব্রুয়ারি