সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা মামলার শুনানি আবার পিছিয়েছে। পলাতক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমানের মালামাল ক্রোকের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ না হওয়ায় সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবুল মোমেনের আদালতে বিচার শুরু নিয়ে শুনানি হয়নি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ ফজল চৌধুরী জানান, মামলার আলামত নষ্ট করা আসামি নোমানের মালামাল ক্রোকের বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ না হওয়ায় সিলেট অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুল মোমেনের আদালতে সোমবার শুনানি হয়নি। পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
এদিকে রায়হান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পুলিশের সাময়িক বহিষ্কৃত এএসআই আশেক এলাহীর আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে ফের তা নামঞ্জুর করেন বিচারক মো. আব্দুর রহিম। এর আগে মহানগর হাকিম আদালতেও আশেক এলাহীর জামিন নামঞ্জুর হয়।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল মোমেন রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে নোমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় নোমানের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। এরপর গত ২২ ডিসেম্বর নোমানের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আমিরুল ইসলাম। তবে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়ায় সোমবার বিচারকাজ শুরু হয়নি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ ফজল চৌধুরী আরও বলেন, কোনো আসামি পলাতক থাকলে তার বিচার কাজ শুরুর বিষয়টি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানাতে হয়। তবে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও নোমানের অনুপস্থিতিতে বিচার শুরুর ব্যাপারে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি। বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ না হওয়ায় বিচারক আবদুল মোমেন শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেন। আমরা আজ আদালতকে দ্রুত সময়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করেছি।
আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না হওয়া প্রসঙ্গে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি জাহাঙ্গির আলম বলেন, পত্রিকায় আদালতের মাধ্যমেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এক্ষেত্রে সাধারণত কয়েকটি মামলা একসঙ্গে করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ কারণে হয়তো দেরি হচ্ছে। তবে বিচার কাজে বিলম্ব হওয়াতে ক্ষোভ প্রকাশ করে রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলো না তা আমার বোধগম্য নয়।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ মে আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। অভিযোগপত্রে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই (সাময়িক বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে (৩২) প্রধান অভিযুক্ত করা হয়।
অন্য অভিযুক্তরা হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী (৪৩), কনস্টেবল মো. হারুন অর রশিদ (৩২), টিটু চন্দ্র দাস (৩৮), ফাঁড়ির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড পদে থাকা সাময়িক বরখাস্ত এসআই মো. হাসান উদ্দিন (৩২) ও এসআই আকবরের আত্মীয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মী আবদুল্লাহ আল নোমান (৩২)।
আইআর/ ০৮ ফেব্রুয়ারি