নিজস্ব প্রতিবেদক :: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কুচাইটল এলাকায় ‘শিশু হাতি’ প্রশিক্ষণ (হাদানি) দেয়ার বিষয়টি মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুহম্মদ আলী আহসান শিশু হাতির উপর শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও ইউটিউভে ও কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।
এর প্রেক্ষিতে বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এবং প্রাণীকল্যাণ আইন, ২০১৯ অনুযায়ী হাতির প্রতি নিষ্ঠুর নির্যাতন নিরসনে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নিষ্ক্রিয়তা বেআইনী গণ্যে কেন তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তারিখের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখিত তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন ও কারণ দর্শানোর জবাব দাখিলের জন্য ধার্য করা হয়। ‘শিশু হাতি’ প্রশিক্ষণ (হাদানি) নামক প্রাচীন পদ্ধতিতে বন্য হাতিকে পোষ মানানো হয়। প্রশিক্ষণ অবস্থায় দড়ি দিয়ে বেঁধে গাছের খুঁটির সাথে আবদ্ধ করা হয়। এসময় শিশু হাতির মাকে দূরে রাখা হয়, নির্দয়ভাবে শিশু হাতিকে শারীরিক নির্যাতন করা হয় এবং যথেষ্ট খাদ্য প্রদান করা হয় না। বর্ণিতভাবে ২-৩ মাস প্রশিক্ষণ দেয়ার পর সার্কাসে বিভিন্ন কসরৎ এবং গাছ পালা পরিবহনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
এবিএ/৭ ফেব্রুয়ারী-৩৮