কানাইঘাট প্রতিনিধিঃঃ কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির কুকুবাড়ী গ্রামে পাওনা টাকা চাইতে যাওয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন নিরীহ হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মারধরসহ বসত ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুকুবাড়ী গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী ফুলবান বিবি তার পিতার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে অন্যত্র বাড়ী তৈরী করার জন্য প্রায় ৩ বছর পূর্বে স্থানীয় মুরব্বীয়ানদের মাধ্যমে একই গ্রামের আব্দুল ওয়াহিদের পুত্র জয়নাল আবেদীনের কাছে ৪৫ হাজার টাকা আমানত স্বরুপ রাখেন।স্থানীয় ভাবে কয়েকবার বিচার প্রার্থী হয়ে ফুলবান বিবি জয়নালের কাছ থেকে তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে উল্টো সে ফুলবান বিবিকে কয়েকবার প্রাননাশের হুমকি দেয়। এঘটনায় কয়েক দিন পূর্বে ফুলবান বিবি কানাইঘাট থানায় জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২০ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে তার সহযোগিরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে নিরীহ ফুলবান বিবির টিনশেডের বসত ঘরে কেরোসিন ঢেলে অগ্নি সংযোগ করলে ঘরের একাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এসময় তারা ফুলবান বিবির বসত ঘর থেকে নগদ টাকা ঘরের আসবাবপত্র নিয়া যাওয়ার পাশাপাশি অগ্নিসংযোগ করে অনুমানিক ২লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে।এঘটনায় ফুলবান বিবির মেয়ে রফিকা বেগম বাদী হয়ে সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫নং আমলী আদালতে জয়নাল আবেদীন ও তার সহযোগী ফয়াজ, শামীম, আজির, সায়াদসহ ১২জনের বিরুদ্ধে কানাইঘাট সিআর মামলা নং-৪০/২২, তাং-২৬/১/২২ইং দায়ের করেন।
আদালতে মামলা দায়েরের কারনে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে কতেক আসামীগন গত বুধবার রাত অনুমান ১১টার দিকে কেন মামলা করেছে বলে তারা ফুলবান বিবির বসত বাড়ীতে চড়াও হয়ে রফিকা বেগম ও তার মা ফুলবান বিবিকে বেধড়ক মারপিটসহ প্রাননাশের হুমকি দিলে রফিকা বেগম গত বৃহস্পতিবার জয়নাল আবেদীনের পুত্র সুহাগ আহমদসহ ৫জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।ফুলবান বিবি ও তার মেয়ে রফিকা বেগম কান্নায় জড়িত কণ্ঠে বলেন তারা ভূমিহীন রাস্তার পাশে টিনশেডের একটি ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করে থাকেন। আসামীরা তাদের সেই ঘরটি পুড়িয়ে দিয়েছে। মামলা করার কারনে তাদেরকে প্রাননাশের হুমকি দেওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আদালতের দরখাস্ত মামলাটি তদন্ত পূর্বক আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বিএ/৭ ফেব্রুয়ারি