সিলেট৭১নিউজ ডেস্কঃঃ থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের নারীদের টয়লেটে পাওয়া গেছে একাধিক স্পাই ক্যামেরা। এই অভিযোগে দূতাবাসের এক সাবেক কর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে শনিবার ক্যানবেরার কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। শনিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দূতাবাসের স্থানীয় এক কর্মীকে এই অভিযোগে মাসে থাইল্যান্ডের পুলিশ গ্রেফতার করে বলে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানায়, সব কর্মীদের কল্যাণ এবং গোপনীয়তার বিষয়টি বিভাগ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং আমরা যথাযথ সহায়তা প্রদান চালিয়ে যাচ্ছি। তবে চলমান আইনি বিষয় নিয়ে আরও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন ওই মুখপাত্র। এ ব্যাপারে রয়্যাল থাই পুলিশের পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগের কমান্ডার খেমারিন হাসিরি বলেন, অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস ৬ জানুয়ারি এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে থাই পুলিশ জানিয়েছে।এবিসি অস্ট্রেলিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর বাথরুমের মেঝেতে ক্যামেরার এসডি কার্ড পাওয়া যাওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তবে ক্যামেরাগুলো কতদিন বাথরুমে ছিল তা স্পষ্ট নয় বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এই ঘটনাটি গুরুতর নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বলে অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতি বিশেষজ্ঞ , অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের এমেরিটাস প্রফেসর হিউ হোয়াইট এএফপিকে বলেছেন।তিনি বলেন, একটি সুরক্ষিত এলাকার মধ্যে ক্যামেরার মতো ডিভাইসগুলোকে ইনস্টল করার জন্য সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট শিথিল ছিল। বিষয়টি দূতাবাসকে সুরক্ষিত রাখার জন্য সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথেষ্ট মজবুত নয় বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এদিকে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অস্ট্রেলিয়া ও থাইল্যান্ডের দ্বৈত নাগরিক ব্যাংক থামসংসানা নামে দূতাবাসের ওই সাবেক আইটি কর্মী শাস্তির মুখোমুখি হবেন বলে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানিয়েছে।
বিএ/৬ ফেব্রুয়ারি