অজয় বৈদ্য অন্তর:; রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো। শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পুজো করা হয়ে থাকে। এই তিথিকে শ্রীপঞ্চমীও বলা হয়। এদিন স্কুল-কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং বাড়িতেও সরস্বতী পুজো করা হয়। তবে করোনা সংক্রমণের জেরে স্কুল-কলেজে ঘটা করে আগের মতো এই উৎসব পালিত হচ্ছে না। যে বাড়িতে ছোট বাচ্চা বা ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে, সেখানে এখনও এই পুজো করা হয়। বাড়িতে পুরোহিত ডেকে এনে পুজো করানো হয়।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১৬ মিনিটে মকর রাশিতে মার্গি হয়েছে বুধ। সকালে মকরে মার্গি হয়েছে বুধ, কার মুখে হাসি ফুটবে। বাঙালি সমাজে হাতেখড়ির মাধ্যমে বিদ্যারম্ভের সূচনা করা হয়। সন্তানের হাতেখড়ি দেবেন এই সরস্বতী
দল বেঁধে স্কুলে স্কুলে গিয়ে নিমন্ত্রণ করার পালা নেই, হই হই করে মূর্তি কিনে আনার সেই সমারোহও নেই।রাত পোহালেই যে সরস্বতী পুজো তা যেন বড় নিস্প্রান। সরস্বতী পুজো মানেই বাঙালির ভ্যালেনটাইন্স ডে। বাসন্তী রঙের শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে নবীন প্রজন্মের পথে নামা।
সকালে পুষ্পাঞ্জলির আসরে চকিত দৃষ্টিপাত। কত নতুন প্রেমের জন্ম এই সরস্বতী পুজোয়। এই পুজো মানেই দুপুরে খিচুড়ি, লাবড়া আর চাটনি। রাতে গরম গরম লুচি, আলুর দম।
রাত জেগে প্যান্ডেল সাজানো। পড়শীর বাগান থেকে ফুল চুরি। কালান্তক করোনা গত দু বছরে গ্রাস করেছে সব কিছুই। করোনা কিছুটা কমায় এবার সরস্বতী পুজো হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ব্লটিং পেপার দিয়ে কে যেন শুষে নিয়েছে সব আবেগ আর রোমাঞ্চ।
এবার সরস্বতী যেন নিয়মরক্ষার তাগিদে আসছেন। কিন্তু, প্রাণের অভাব যেন সর্বত্র। বাজারে সরস্বতী পুজোর অনুসঙ্গ নারকেলি আর টোপা কুল এসেছে ঠিকই। কিন্তু, ক্রেতার বড় অভাব। সরস্বতী পুজোয় অবশ্যই থাকে পলাশ ফুল। দেবীর অপর নামতো পলাশ প্রিয়া। কিন্তু এবার এ সেই পলাশের রং যেন কিছুটা বিবর্ণ। করোনা কিট বাসা বেঁধেছে পলাশে।
এবিএ/ ০৪ ফেব্রুয়ারী