সিলেট৭১নিউজ ডেস্কঃঃ সন্দ্বীপের ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট করতে আসা মোহাম্মদ আরমান (১৯) নামে এক রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রামের মুনসুরাবাদের পাসপোর্ট অফিস থেকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত উল্লাহ।
আটক মোহাম্মদ আরমান চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার হরিশপুর গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। এতে বাবার নাম ফয়সাল আমীন ও মায়ের নামের জায়গায় মারজান লিখেছেন।মুনসুরাবাদ পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের সহকারী পরিচালক এনায়েত উল্লাহ বলেন, আজ দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস চট্টগ্রামে মোহাম্মদ আরমান নামে একজন একটি আবেদন পত্র জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে নিজের জন্ম নিবন্ধন সনদ, মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জাতীয়তা সনদ দাখিল করেন। পরে পাসপোর্ট অফিসের ২ নম্বর কাউন্টারে ইন্টারভিও শেষ করতে গেলে আবেদনকারীকে সন্দেহ হয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের। এছাড়া ৪ নম্বর কাউন্টারে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকরা SAS এর মাধ্যমে আঙ্গুলের ছাপ যাচাই করে দেখা যায় ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট আরমান কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, যার রেফারেন্স নং- ১৩২২০১৮০৩১০১৪০৬১৫। সেখানে বাবার নাম উল্লেখ আছে সৈয়দ আলম।
তিনি আরও বলেন, আরমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তার বয়স যখন আনুমানিক ৮ থেকে ৯ বছর ছিল তখন সে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসে। তার মা ও ভাইবোনও ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আসে। বর্তমানে তারা বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছে। পরে তাকে আটক করে ডবলমুরিং থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা বলেন, পাসপোর্ট করতে আসা এক রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিস থেকে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। কীভাবে পাসপোর্ট করতে এলো ও জন্মসনদ পেলো তার তদন্ত করে দেখা হবে।
বিএ/৪ ফেব্রুয়ারি