করোনামুক্ত হয়ে বিপিএলে ফিরে চট্টগ্রাম পর্বের ৩ ম্যাচে রানের দেখা পাননি সৌম্য সরকার। মাত্র ১৪ রান করেন সাকুল্যে।
তবে ঢাকার মাঠে ব্যাট হাসল তার। এ বাঁহাতি ব্যাটাবের ৪৩ রান ও পরে আন্দ্রে ফ্লেচারের ঝড়ো ইনিংসের সুবাদে খুলনার কাছে পাত্তাই পেল না সিলেট।
৩৪ বল বাকি থাকতেই সিলেট সানরাইজার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা।
বৃহস্পতিবার ঢাকা পর্বে ফিরে প্রথম ম্যাচে সিলেটের মুখোমুখি হয় খুলনা। টস হেরে আগে একাদশে চার পরিবর্তন নিয়ে ব্যাট করতে নামে সিলেট। খুলনার দলেও ছিল ২ পরিবর্তন।
আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ মিঠুনের ফিফটিতে ভর করে খুলনাকে ১৪৩ রানের লড়াকু লক্ষ্য ছুড়ে দেয় সিলেট।
আর এই মাঝারি লক্ষ্য অনায়াসেই পার করে দেয় খুলনা। ওপেনিংয়ে নেমে ৬ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন সৌম্য।
অন্যপ্রান্তের ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ছিলেন আরও মারমুখী। ৫ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় ৪৭ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।
৯৯ রানে ভাঙে সৌম্য-ফ্লেচার জুটি। ১০.৫ ওভারেই এই রান তোলেন এ দুই ওপেনার।
বাকি কাজটা থিসারা পেরেরাকে নিয়ে সারেন ফ্লেচার। জয়ে ভিত গড়ে দেওয়ার ম্যাচে পেরেরা খেলেন মাত্র ৯ বলে ২২ রানের ইনিংস।
১৪.২ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন এ লঙ্কান তারকা।
সিলেটের পক্ষে একমাত্র উইকেটটি পেয়েছেন নাজমুল ইসলাম। সৌম্য সরকারকে আউট করেছেন তিনি।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেই ভালো ছিল না সিলেটের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সৈয়দ খালেদ আহমেদের বলে সাজঘরে ফিরে যান ১০ বলে ৪ রান করা এনামুল হক বিজয়। আরেক ওভারে লেন্ডল সিমন্স আউট হন সপ্তম ওভারে। ৬ রান করতে ১৯টি বল খরচ করেন তিনি।
৯ ওভার শেষে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩৪ রান। সেখান থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলকে বিপদমুক্ত করেন মিঠুন ও সৈকত।
এ দুজনের জুটিতে ৮.২ ওভারে ৬৮ রান পায় সিলেট। ইনিংসের ১৭তম ওভারে আউট হন ৩০ বলে ৩৪ রান করা সৈকত। ব্যাট চালিয়ে যান মিঠুন। থিসারা পেরেরার এক ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে দলেকে ১৪২ রানের পুঁজি গড়ে দেন তিনি।