সিলেট৭১ ডেস্ক:;:: সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিদায়ী এবং নব যোগদানকৃত পরিচালককে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার উদ্যোগে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
সংবর্ধিতরা হলেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার ও নব যোগদানকৃত পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভুইয়া।
বিএনএ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার সভাপতি শামীমা নাসরিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেকের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, মাইক্রোবায়োলজি ও ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. ময়নুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ময়নুল হক বলেন, ‘আমি সিলেটের সন্তান। তাই সিলেটের মানুষের প্রতি আমার বিশেষ দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে কোভিডকালীন সময়ে চেষ্টা করেছি মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার। করোনা সনাক্তে ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে দিনরাত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মানুষের সেবায় আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
সংবর্ধিত অতিথির বক্তৃতায় বিদায়ী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার বলেন, ‘দায়িত্বপালনকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে সহযোগিতা পেয়েছি তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা করেছি এই হাসপাতালের রোগীদের সেবা নিশ্চিতে। সেটায় কতটুকু সফল হয়েছি তা সেবাগ্রহীতারা মূল্যায়ন করবেন।’
নব যোগদানকৃত পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভুইয়া বলেন, ‘আমি সিলেট মেডিকেল কলেজেরই ছাত্র। তাই এই হাসপাতালে দায়িত্ব পেয়ে আমি গর্বিত। সবার সহযোগিতা নিয়ে হাসপাতালের সেবার মান এগিয়ে নেয়াই হবে আমার মুল লক্ষ্য।’
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সিলেট বিভাগের ১ কোটি মানুষের উন্নত চিকিৎসার অন্যতম ভরসাস্থল। চিকিৎসাসেবায় এই হাসপাতালের অনেক অর্জন রয়েছে। সুনাম রয়েছে সারাদেশে। এই অর্জন ধরে রাখতে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ও অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নাসরীন আখতার বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে প্রসূতি মা ও নবজাতকদের সেবা নিশ্চিত ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। ওসমানী হাসপাতালের গাইনী বিভাগের প্রতিশ্রুতিশীল প্রবীন ও নবীন চিকিৎসকরা সেই চ্যালেঞ্জ জয় করেছেন। তারা যেভাবে কাজ করে গেছেন তা যে কোন আপদকালীন সময়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে উদাহরণ হয়ে থাকবে।’
বক্তারা বলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার পরিচালক হিসেবে দায়িত্বপালনকালে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার মান উন্নয়নে অনেক কাজ করে গেছেন। হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে তাঁর সম্পর্ক ছিল হৃদতাপূর্ণ। নবনিযুক্ত পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুর রহমান ভুইয়াও উন্নয়নের ধারা ধরে রেখে সেবার মান এগিয়ে নিতে নিরন্তর কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বক্তারা।
স্বাগত বক্তব্যে বিএনএ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল আলী সাদেক বলেন, করোনাকালীন সময়েও ওসমানী হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দিয়ে গেছেন। কঠিন এই সময়ে হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এমপি ও তার সহধর্মিনী হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত এবং নার্সিং কর্মকর্তাদের সুরক্ষায় ব্যাপক সহযোগিতা করেছেন। তাদের এ ঋণ সিলেটের নার্সিং কর্মকর্তারা কোনদিন শোধ করতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী ও অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নাসরীন আখতার, হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুল গফফার ভূঁইয়া, কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুর রহমান রোমান, সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভান্ডার) ডা. মাহবুবুল আলম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ) ডা. আবুল কালাম আজাদ, আইসিইউ ও এ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. মইনুল ইসলাম ডালিম, মিড লেভেল চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. প্রশান্ত সরকার ও সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুল ইসলাম, আবাসিক চিকিৎসক (মেডিসিন) ডা. আবু নঈম মোহাম্মদ, আবাসিক সার্জন (জেনারেল সার্জারি) ডা. মো. রাশেদ আশরাফ, সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মিজানুর রহমান, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ ও ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মো. সাইফুল ইসলাম, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. নাজমুল হাসান, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাফওয়ান মুনতাকিম চৌধুরী, হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মোছাম্মৎ রিনা বেগম।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ অঞ্জলী রাণী দেব, ইন্সট্রাক্টর শাহিনা বেগম, ইন্সট্রাক্টর সুমা রানী দত্ত, বিএনএ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সুলেমান আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চন্দ্র দাস, নার্সিং কর্মকর্তা রুবি রাণী সাহা, সুমন চন্দ্র দাস, মো. আমিনুল ইসলাম, আব্দুল খালিক, মো. কিবরিয়া খোকন, সিক্তা রানী দে, মোছা. কনক লতা, আছমা আক্তার খানম, তৃষ্ণা তেরেজা ডি’ কস্তা।
সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) সেলিনা আক্তার খাতুন, বিএনএ’র সভাপতি মাসুদ আহমদ খান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সদস্য রুমি রানী দাস, হোসনে আরা বেগম, আসাদুল্লাহ ফারুক, হাবিবুল বাশার সুমন, আব্দুল মালেক, শিউলী সুলতানা, সিলেট নার্সিং কলেজের স্টুডেন্ট’স ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি নুরুজ্জামান আতিক, জুনিয়র সহ-সভাপতি মুঈন আল শ্রাবণ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামল সরকার, সহকারী কোষাধ্যক্ষ বন্যা, সহকারী তথ্য বিষয়ক সম্পাদক রাকিব হোসেন, কার্যকরী সদস্য মুজাম্মেল হোসাইন, ওসমানী হাসপাতালের ৩য় শ্রেণী কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল খয়ের চৌধুরী, পিএটু পরিচালক মো. রুহুল আমিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল মালেক খান, ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল জব্বার, সাধারণ সম্পাদক মো. রুবেল সহ হাসপাতালের সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।
এবিএ/ ০২ ফেব্রুয়ারী