সিলেট৭১নিউজ::সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক সিলেট ডটকম এর সম্পাদক কবি, নাট্যকার,ঔপন্যাসিক ও গীতিকার জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক মুহিত চৌধুরী বলেছেন, আবদুল কাদের তাপাদার সিলেটের আধুনিক সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের জগতে একটি সাহসী নাম।
তাঁর হাত ধরে সিলেটে সাংবাদিকতা নতুন গতিপথ পেয়েছে। গত তিন দশক ধরে তিনি সাংবাদিকতার ভাঙ্গা গড়ায় নিজেকে সুনিপুণ হাতে গঠন করেছেন। অতীতের সোনালী সাংবাদিকতাকে জীবনের সফলতার অনিবার্য অনুসঙ্গ হিসেবে কাজে লাগিয়ে নতুন ও যুগোপযোগী সাংবাদিকতার পথ রচনা করেছেন।
কৈশোরে কবিতা আর সাহিত্যের আসর মাতিয়ে রাখা আবদুল কাদের তাপাদার এখন সাংবাদিকতাকে জীবনের অপরিহার্য দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছেন। কঠোর নীতি নিয়ম ও নৈতিকতা মেনে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়ে এখন নতুনদের অনেক কিছুই দিতে পারেন তিনি।
সিলেট প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক আবদুল কাদের তাপাদার এর জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার রাতে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। নগরের জিন্দাবাজারের কাজী এসপারাগাস এর ঢাকাইয়া রেস্তোরাঁয় অনাড়ম্বর ও তাৎক্ষণিক এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আবদুল মুয়িজ অহিদ।
দৈনিক আলোকিত সিলেট এর নির্বাহী সম্পাদক গোলজার আহমদ হেলাল ও তরুণ সাংবাদিক ইসমাইল হুসেনের এর সঞ্চালনায়
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দৈনিক জৈন্তাবার্তা সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সিলেট সান সম্পাদক ও মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম এর সিলেট প্রতিনিধি ফয়সল আহমদ বাবলু, মাছরাঙা প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী ও সার্ক এর কর্মকর্তা লেখক আবুল কাশেম,তরুণ সাংবাদিক বিজয় টিভির সিলেট ব্যুরোচীফ খালেদুর রহমান , নাট্য প্রযোজক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুর রব তাপাদার, লন্ডন প্রবাসী মবরুর আহমদ ও নাঈম আহমদ।
কাদের তাপাদারকে সমকালীন সাংবাদিকতার এক আলোকিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখ করে দৈনিক জৈন্তাবার্তার সম্পাদক ফারুক আহমেদ বলেন, বিএনপি নেতা হারিস চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার স্মৃতি চারণমূলক ভারসাম্যপূর্ণ লেখা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। ঠিক তেমনি জৈন্তা গোয়াইনঘাট এলাকার সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিমকে নিয়ে তার অসাধারণ লেখা সাধারণ পাঠকের জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
দৈনিক সিলেট সান এর সম্পাদক, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য ফয়সল আহমদ বাবলু নিজের আড়াই দশকের সাংবাদিকতা জীবনে দেখা সবচেয়ে মেধাবী ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক হিসেবে কাদের তাপাদার এর নাম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রিপোর্টার হিসেবে তিনি অসাধারণ ও অতুলনীয় কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
বড়লেখা পৌরসভার কৃতিসন্তান লেখক ও প্রকাশক আবুল কাশেম বলেন, বড়লেখার মানুষ তাঁকে সাংবাদিকতার কিংবদন্তি ও রত্ম হিসেবে গণ্য করে। আমরা সেই শৈশব থেকেই তাঁর অসাধারণ লেখার সাথে পরিচিত। তিনি আগামীতে সাংবাদিক আবদুল কাদের তাপাদার এর জীবন নিয়ে স্মারক প্রকাশনার উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান।
দৈনিক আলোকিত সিলেট এর নির্বাহী সম্পাদক গোলজার আহমদ হেলাল বলেন, সুদীর্ঘ কালের সাংবাদিকতায় কাদের তাপাদারের হাতে গড়া সাংবাদিকরা এখন দেশে বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। তিনি সাংবাদিকতার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে আধুনিক গণমাধ্যমের জগতে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তরুণ টিভি সাংবাদিক খালেদুর রহমান কাদের তাপাদারকে দায়িত্বশীল ও দক্ষ সাংবাদিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, আজ তাঁর মতো সম্পাদকের খুব দরকার।
বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী আবদুল মুয়িজ অহিদ কাদের তাপাদারকে একজন গুনী ও সমাজসচেতন প্রখর মেধাবী সাংবাদিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সহযোগিতা ও সমর্থন পেলে তিনি সিলেটের গণমাধ্যমে অসামান্য ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানের আয়োজক তরুণ সাংবাদিক ইসমাইল হুসাইন মাত্র দুই আড়াই ঘন্টার নোটিশে সংক্ষিপ্ত এই অনুষ্ঠান করতে হয়েছে বলে সবাইকে না জানাতে পারায় আন্তরিক দু:খ প্রকাশ করেন।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত কাদের তাপাদার বলেন, মানুষ যখন আদালতে গিয়েও বিচার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে তখন শেষ আশ্রয়স্হল হিসেবে সংবাদপত্রের দ্বারস্থ হয়। মানুষের অধিকার আদায়ে গণমাধ্যমই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। সাধারণ পাঠকের কাছে সংবাদপত্রের হারিয়ে যাওয়া আস্থা ও বিশ্বাস ফেরানো এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সিলেট৭১নিউজ/টিআর-01