সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক;: সিলেটবাসী বর্ণমালার মিছিল দিয়ে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিকে বরণ করে নিলেন। এসময় ১৯৫২, ১৯৭১ ও বাংলা বর্ণ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে এই মিছিলে অংশ নেন সিলেটের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য এই বর্ণমালার মিছিল। সকাল ১১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদমিনার প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শহীদমিনারে এসে শেষ হয়। এ সময় শহীদমিনারে মিছিলটিকে ছন্দ নৃত্যালয়ের নৃত্যশিল্পীরা ভাষার গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে বরণ করে নেয়।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের সঞ্চালনায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।সমাবেশে বক্তারা বলেন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট বিগত ৩৭ বছর ধরে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নাট্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ভাষার মাসকে বরণ করতে বর্ণমালার মিছিলটি তাদের নাট্য ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম কর্মসূচি। ভাষা আন্দোলনের আদর্শ ও চেতনায় তরুণ ও নতুন প্রজন্মকে ছড়িয়ে দিতে নাট্য পরিষদ অঙ্গীকার পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।বক্তারা আরও বলেন, ভাষার মাসকে বরণের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম যেন বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্যকে লালন করে মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় কাজ করে।
অনুষ্ঠানে ভাষা আন্দোলনের সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। বক্তারা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সকল অপসংস্কৃতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বায়ান্ন-একাত্তরের চেতনায় কাজ করার অঙ্গীকারের কথা ব্যক্ত করেন।আয়োজক সংগঠন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী মিশু বলেন, এটি বর্ণমালার মিছিলের ৯ম আয়োজন। আমরা প্রতিবছর এই আয়োজনটি করি মূলত দু’টি উদ্দেশ্যে। একটি হলো মহান ভাষা শহীদদের স্মরণ করা এবং অন্যটি হল নতুন প্রজন্মের সামনে আমাদের মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে।
বর্ণমালার মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার সিংহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক অরিন্দম দত্ত চন্দন, নিরঞ্জন দাস টুকু, নিরঞ্জন দে যাদু, নিলঞ্জনা জুঁই, জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম সেলিম।
আইআর/১ ফেব্রুয়ারি