বাহুবল প্রতিনিধি:: ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হবিগঞ্জের বাহুবলে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে।
স্থানীয়ভাবে পাওয়া ফলাফল অনুযায়ী, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে মাত্র ২টিতে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৫টির মধ্যে ১টিতে জাতীয় পার্টি, ১টিতে নৌকার বিদ্রোহী ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিজয়ী হয়েছে।
বাহুবলে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হলেন যারা: ১ নম্বর স্নানঘাট ইউনিয়নে ৩ হাজার ৩৪৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. তোফাজ্জল হক রাহিন (ঘোড়া)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. তাজুল ইসলাম (আনারস) পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৪ ভোট।
২ নম্বর পুটিজুরী ইউনিয়নে ৫ হাজার ৯৫৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. মুদ্দত আলী (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি খোরশেদ আলম (ঘোড়া) পেয়েছেন ৫ হাজার ১১ ভোট।
৩ নম্বর সাতকাপন ইউনিয়নে ৪ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. আব্দুর রেজ্জাক (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শাহ আবদাল মিয়া (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৪ হাজার ভোট।
৪ নম্বর বাহুবল সদর ইউনিয়নে ৭ হাজার ৪০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আজমল হোসেন চৌধুরী (ঘোড়া)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রিফাত ইসলাম মুরাদ (নৌকা) পেয়েছেন ২ হাজার ০৯০ ভোট।
৫ নম্বর লামাতাসী ইউনিয়নে ৩ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন উস্তার মিয়া তালুকদার (লাঙ্গল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. শাহিন মিয়া (আনারস) পেয়েছেন ২ হাজার ৪৪৯ ভোট।
৬ নম্বর মিরপুর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৯১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. শামীম (চশমা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. সাইফুদ্দিন (নৌকা) পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৯ ভোট।
৭ নম্বর ভাদেশ্বর ইউনিয়নে ৫ হাজার ৯০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. কামরুজ্জামান (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. আব্দুর রউফ বাহার (চশমা) পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৬৬ ভোট।
নৌকার ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বাহুবলে ভরাডুবির কারণে দলের নেতাকর্মীরা হতাশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা মন্তব্য করেছেন, অযোগ্য প্রার্থীকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া এবং অধিক সংখ্যক বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় ভরাডুবি হয়েছে।
এবিএ/৩১ জানুয়ারি