সিলেট৭১ ডেস্ক:: যশোরের মনিরামপুরের ২৩ কৃতীসন্তান বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। অচিরেই সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে সুপারিশ প্রাপ্তদের নামে প্রজ্ঞাপন জারি হতে যাচ্ছে।
এরপরই চূড়ান্ত নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে তারা দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যোগদান করবেন। এবারই অধিকসংখ্যক এ নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগে বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে ২০২১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে মে মাস থেকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি ধাপে উত্তীর্ণদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়; যা চলমান রয়েছে।
যশোর জেলায় ১৩৫ কৃতীসন্তান স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মনিরামপুর উপজেলায় ২৩ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে উপজেলার মুখ উজ্জ্বল করেছেন; যা এযাবতকালের মধ্যে অধিক বলে জানা গেছে।
এ উপজেলায় নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্তরা হলেন- রঘুনাথপুর গ্রামের সত্যবান মণ্ডলের ছেলে রাজেস মণ্ডল, দেবীদাসপুরের এসএ সামাদের ছেলে জিএমএসএস কে ডালিম, মনিরামপুর গ্রামের দিলীপ পালের মেয়ে পপি পাল, দুর্গাপুর গ্রামের মো. মোতালেবের ছেলে মো. ফরিদুল ইসলাম, হাটগাছার বিনান্ত কুমার বৈরাগীর ছেলে দেবজ্যোতি বৈরাগী, নোয়ালি গ্রামের রঞ্জন কুমার আঢ্যর মেয়ে অনন্যা আঢ্য, ডাঙ্গামহিষদিয়া গ্রামের মো. জামশেদ আলীর ছেলে হারুন-অর রশিদ, কুমারীকোনা গ্রামের কালিপদ পালের ছেলে বিশ্বজিৎ পাল, নেহালপুর গ্রামের শুকুর আলী সরদারের ছেলে এসএম হায়দার আলী ও একই গ্রামের মো. এনায়েত আলীর ছেলে মো. বাহারুল ইসলাম, পাঁচাকড়ি গ্রামের মাকছুদুর রহমানের ছেলে সিবগাতুল্লাহ, হাকোবা গ্রামের মো. আমিনুর রশীদের ছেলে মো. হুমায়ন রশীদ (সাগর), হোগলাডাঙ্গা গ্রামের ডা. রামচন্দ্র সাহার মেয়ে অথই সাহা (অথই), কাশিমপুর গ্রামের (সর্দারবাড়ি) মহিউদ্দীন আহমদের ছেলে নূর উদ্দীন আহমেদ (রাতুল), বলিয়ানপুর গ্রামের মো. মোশারেফ হোসেনের ছেলে মো. ওয়াহিদুজ্জামান (ওয়াহিদ), রোজিপুর গ্রামের বিধান চন্দ্র হালদারের ছেলে সুমন হালদার, কামালপুর গ্রামের রামকৃষ্ণ শীলের ছেলে রাজীব রায়, জুড়ানপুর গ্রামের কাজী আমিনুর রহমানের মেয়ে তামান্না খাতুন (আশা), খেদাপাড়া গ্রামের মো. আনিছুর রহমানের ছেলে হাসান আরিফুর রহমান, কন্দর্পপুর গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে সুমাইয়া খাতুন, ঢাকুরিয়া গ্রামের মো. তবিদুল ইসলামের ছেলে মো. আব্দুল কাদের (কাদের), সমসকাটি গ্রামের কালিদাস মণ্ডলের ছেলে শুকদেব মণ্ডল এবং মনোহরপুর গ্রামের রামপ্রসাদ মণ্ডলের ছেলে রঘুরাম চন্দ্র (দীপ্ত)।
আগামী ২-১ মাসের মধ্যেই এসব সুপারিশ প্রাপ্তদের নামে সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হতে নিয়োগপ্রাপ্তদের দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে যোগদান করতে পত্র জারি করা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে এ উপজেলা হতে এবার অধিকসংখ্যক কৃতীসন্তান স্বাস্থ্য ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়ায় সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মনিরামপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পৌর মেয়র কাজী মাহমুদুল হাসান বলেন, তাদের গর্বিত সন্তানদের শুভযাত্রায় অফুরন্ত আশীষ রইল। এরা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অসহায় মানুষের সেবা করে এ উপজেলার মুখ আরও উজ্জ্বল করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এবিএ/৩১ জানুয়ারি