নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটে ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা। এছাড়া ৩টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ৪টিতে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। একটিতে এগিয়ে রয়েছেন বিএনপির প্রার্থী। এবার সবকটি ইউনিয়নের সকল কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হওয়ায় কেন্দ্র দখল, প্রভাব বিস্তার বা জাল ভোটের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
ষষ্ঠ ধাপে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হয়। এর মধ্যে ৫টিতে আওয়ামী লীগ, দুইটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও ১টিতে স্বতন্ত্রের ব্যানারে অংশ নেয়া বিএনপির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
উমরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. গোলাম কিবরিয়া, সাদিপুরে আওয়ামী লীগের সাহেদ আহমদ মুছা, পশ্চিম পৈলনপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী গোলাম রব্বানী চৌধুরী সুমন, বুরুঙ্গাবাজারে আওয়ামী লীগের আখলাকুর রহমান, গোয়ালাবাজারে আওয়ামী লীগের পীর মজনু, তাজপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অরুনোদয় পাল ঝলক, দয়ামীরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে বিএনপি নেতা এসটিএম ফখর উদ্দিন ও উছমানপুরে আওয়ামী লীগের ওয়ালী উল্লাহ বদরুল নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া দক্ষিণ সুরমার তেতলী ইউনিয়নে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি নেতা মো. অলিউর রহমান অলি ও কামালবাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী একরামুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। বিশ্বনাথের খাজাঞ্চিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরশ আলী ও লামাকাজি ইউনিয়নে বিএনপির কবীর হোসেন ধলা মিয়া বিজয়ী হয়েছেন।
গোয়াইনঘাটের পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম ও পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের গোলাম কিবরিয়া হেলাল বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিমপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ব্যানারে বিএনপি সমর্থক জিয়াদ আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে, সকাল থেকে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল। বিশেষ করে সকালে নারী ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট দিতে এসে অনেক ভোটারদের অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায়। ভোট গ্রহণেও ধীরগতি পরিলক্ষিত হয়।
ফলে দিনের পুরো সময়ই কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। ভোটগ্রহণের শেষ সময় বিকেল ৪টা নির্ধারিত থাকলেও ওই সময়ে অনেক কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিল। ফলে বিকেল ৪টায় যেসব ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন তাদের ভোটদানের সুযোগ দেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।
এবিএ/৩১ জানুয়ারি