জুড়ী প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জনবল সংকটে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ উপজেলায় ৮৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারি ৬০ টি বিদ্যালয় রয়েছে। উপজেলার প্রায় দেড়শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তদারকির জন্য কর্মরত আছেন মাত্র একজন সহকারী শিক্ষা অফিসার। এছাড়াও বিভিন্ন পদে কর্মকর্তা-কর্মচারীর শূন্য পদ থাকায় মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কাজ সহ ও শিক্ষা কার্যক্রম।
জুড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসারের অনুমোদিত গুরুত্বপূর্ণ পদটি বর্তমানে শূন্য রয়েছে। এছাড়াও তিন জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পরিবর্তে কর্মরত আছেন মাত্র একজন। উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদ ও এমএলএসএস পদটিও রয়েছে শূন্য। এতে বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে কর্মরত কর্মচারীরা হিমসিম খাচ্ছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মন্তোষ কুমার দেবনাথ অবসরে গেলে সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ভূঁইয়া শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পান। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর একাই সব কিছু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে তিনি কর্মদক্ষতায় উপজেলার সকল শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান অফিসার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের সাথে কথা বলে যায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসে জনবল সংকটে শিক্ষকদের অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোন সেবা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এছাড়াও জনবল সংকটের কারণে অনেক সময় শিক্ষকদের ডেপুটেশনে শিক্ষা অফিসে কাজ করানোর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি অশোক রঞ্জন পাল ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ জানান, ৮৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দেখভাল করার জন্য যেখানে তিনজন সহকারী শিক্ষা অফিসার থাকার কথা সেখানে আমাদের উপজেলায় কর্মরত আছেন মাত্র একজন সহকারী শিক্ষা অফিসার। এছাড়াও বর্তমানে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদটিও শূন্য রয়েছে। অচিরেই এ সমস্যার সমাধান করা না হলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, শিক্ষা অফিসে জনবল না থাকায় আমরা খুবই অসহায়। অফিসে এসে আমাদের কাজ করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয় এবং যথাসময়ে কাজ বাস্তবায়ন করতে সম্ভব হয় না। তবে আলাপকালে তারা বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা কাজের ক্ষেত্রে অনেক আন্তরিক বলে জানান।
উপজেলা প্রাথমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ভূঁইয়া জানান, জনবল সংকটের কারণে দাপ্তরিক কাজ করতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।এ ব্যাপারে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শূন্য পদ পূরণের জন্য বলা হয়েছে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ শামছুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষা অফিসে বর্তমানে জনবল সংকট রয়েছে। এ ব্যাপারে আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।
এবিএ/৩১ জানুয়ারি