সিকৃবি প্রতিনিধি:: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রীরা খাবারের মানসহ কিছু বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে অর্ধশতাধিক ছাত্রী এসব সমস্যার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালককে বলেন।
ছাত্রীদের সমস্যার কথা শুনে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মোস্তফা শামসুজ্জামান ও প্রক্টর মো. তরিকুল ইসলাম বেলা দুইটার দিকে হলে যান। সেখানে তাঁরা ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক কিছু সমস্যার সমাধান করেন। অন্য সমস্যাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধানের আশ্বাস দেন। এতে ছাত্রীরা আশ্বস্ত হন।
ছাত্রীদের অভিযোগ, হলে খাবারের মান খুবই খারাপ। নিম্নমানের চাল ডাইনিংয়ের জন্য কেনা হয়। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারও সেভাবে ডাইনিংয়ে থাকে না। হলের পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা থাকে। কেউ অসুস্থ হলে পড়লে অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় জরুরি ভিত্তিতে কাউকে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। ৫ টাকা বকেয়া থাকলেও ২০০ টাকা জরিমানা গুনতে হয়। করোনা পরিস্থিতিতে এই জরিমানার টাকা ছাত্রীদের কাছে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
ছাত্রীরা আরও অভিযোগ করেন, শীতকালে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মধ্যে হলে প্রবেশের সময়সীমা থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে পাঁচ মিনিট দেরি হলে কড়া জবাবদিহির মুখে পড়তে হয়। কারও ইন্টারনেট সেবায় সমস্যা দেখা দিলে সেটা কেবল বুধবার ও বৃহস্পতিবার সারিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে কারও ইন্টারনেট সেবা শুক্রবার বিকল হলে এটা সারাতে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়। অথচ প্রায় প্রতিদিনই অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষা চলে। হল কর্তৃপক্ষকে এসব সমস্যার বিষয়ে জানালেও তারা সমাধানে পদক্ষেপ নেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের পাঁচটি এবং মেয়েদের দুটি আবাসিক হল আছে। এসব হলে অন্তত দুই হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী থাকেন। শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে পাঁচ শতাধিক ছাত্রী থাকেন। হলটির ডাইনিং পরিচালনার বিষয়টি আবাসিক ছাত্রীদের ব্যবস্থাপনাতেই হয়ে থাকে।
ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মোস্তফা শামসুজ্জামান বলেন, ছাত্রীদের সমস্যা শুনে তাৎক্ষণিক কিছু বিষয় সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। একটা মুঠোফোন নম্বর ছাত্রীদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে এতে কল করলেই অ্যাম্বুলেন্স তাৎক্ষণিক চলে আসবে। হল পরিচ্ছন্ন রাখতেও এখন থেকে কর্তৃপক্ষের নজরদারি থাকবে। আর ডাইনিং যেহেতু আবাসিক ছাত্রীরাই পরিচালনা করে থাকেন, তাই খাবারের মান যেন ভালো থাকে, সেটিও তাঁদের বলে দেওয়া হয়েছে। সব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিলে ছাত্রীরা আশ্বস্ত হন। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বকেয়া থাকলে জরিমানা নেওয়া হবে, এ নিয়মও স্থগিত করা হয়েছে।
এবিএ/৩১ জানুয়ারি