সিলেট৭১ ডেস্ক:; পানামা পেপারস ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছে তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ মার্চের মধ্যে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকের মাধ্যমে যারা বিদেশে অর্থপাচার করেছেন তাদের কত টাকা সেসব ব্যাংকে জমা আছে সে তথ্য এবং তাদের তালিকা হাইকোর্টে জমা দিতে বলেছেন আদালত। আগামী ৬ মার্চের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্যারাডাইস ও পানামা পেপার্সে নাম আসা ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের তথ্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ বিষয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানি হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক বলেন, পানামা ও প্যারাডাইস পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নাম আসা ৬৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা এবং এর মধ্যে ১০ ব্যক্তি-পরিবারের বিষয়ে গৃহীত ব্যবস্থার তথ্য উল্লেখ করে আদালতে ২৬ জানুয়ারি প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
হাইকোর্টে দেওয়া তালিকায় নাম রয়েছে বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর দুই ছেলের। তাদের মধ্যে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীও রয়েছেন।
এর আগে ১২ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইড)।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকসহ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেসব অর্থপাচার হয়েছে তার তথ্য নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। গত ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টকে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আরও সময় নেয় বিএফআইইউ এবং দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন জমা দেয়।
দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য বিশ্লেষণ করে ও আইসিআইজের ওয়েবসাইটে বর্ণিত দেশভিত্তিক তালিকা পর্যালোচনা করে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে প্রথম পর্বে ৪৩ ব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠানের নাম আসে। এর পরে ২৬ জনের নাম পাওয়া যায়।
দেশের ভিন্ন ভিন্ন নাগরিক ও কোম্পানি অর্থপাচার করে সুইস ব্যাংকসহ বিদেশি ব্যাংকগুলোতে গোপনে জমা রাখা বিপুল অর্থ উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট করেন। এর শুনানি নিয়ে ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালত রুলজারিসহ আদেশ দেন।
এবিএ/৩০ জানুয়ারি