মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজার জেলাজুড়ে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় মৌলভীবাজার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা কয়েক দিন ধরে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
এখানে গ্রাম ও চা-বাগান অঞ্চলে শীতের তীব্রতা আরও বেশি। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে সেখানকার মানুষজন পড়েছেন ভোগান্তিতে। উপজেলায় ঠান্ডাজনিত রোগে প্রতিদিন হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের নিয়মিত ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। প্রায় মানুষই জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত। দিনে কিছু সময়ের জন্য সূর্য্যরে দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমছে না। হাড় কাঁপানো শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন চা শ্রমিক, গরিব, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। কষ্টে রয়েছে গবাদিপশু। নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় একেবারে কম।
উপজেলায় গাছ গাছালি ও সবুজে ঘেরা থাকায় চা বাগান সমুহে সাধারণত শীত, মৃদু বাতাস ও কূয়াশাও তুলনামূলক বেশি থাকে। ফলে প্রচন্ড ঠান্ডার সময়ে কাবু হয়ে পড়েন চা শ্রমিকদের একটি বৃহৎ অংশ। পর্যাপ্ত গরম কাপড়ের অভাবে হাড় কাঁপানো শীতে তারা খুবই কষ্টে দিনযাপন করছেন। কয়েক বছর আগেও শ্রমিকদের চাহিদা অনুযায়ী বাগান কর্তৃপক্ষ শীত নিবারনে চটের বস্তা বিতরণ করলেও এখন আর কোন কিছু দেয়া হয় না।
হাড় কাঁপানো শীতে কাহিল হয়ে পড়ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে নিম্ন আয়ের লোকজন। শীতে ছিন্নমূল মানুষেরা বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে। চারদিকে শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, জ্বর, আমাশয়সহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। হাটবাজারে শীতের কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শরীরে উত্তাপ নিচ্ছেন। মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে ডানকান ব্রাদার্স আলীনগর চা বাগানের আলীনগর চা বাগান ব্যবস্থাপক হাবিব আহমেদ চৌধুরী বলেন, আগে এক সময় শীতবস্ত্র দেয়া হতো। এখন চা বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে কোন শীতবস্ত্র বিতরণ করছে না।
এবিএ/৩০ জানুয়ারি