শাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃঃ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, ‘চাষাভুষার টং’ নামে দোকান স্থাপন করা হয়েছে। রাতে আয়োজন করা হয়েছে প্রতিবাদী কনসার্ট।
বিকেলে আন্দোলনের অংশ হিসেবে ক্যাম্পাসের গোলচত্বর থেকে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে সকালে স্থাপন করা হয় ‘চাষা ভুষার টং’। ক্যাম্পাসে পাঁচটি ‘চাষাভুষার টং’ স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্যতম মুখপাত্র উমর ফারুক বলেন, ‘২০২০ সালের জানুয়ারির শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসের ভেতরে বেশ কিছু টং দোকান এবং করোনার ছুটির সময় বাকি টং দোকানগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। এই দোকানগুলোতে শিক্ষার্থীরা স্বল্পমূল্যে খাবার কিনতে পারত। আড্ডা দিত বন্ধুদের সঙ্গে। যুক্তিতর্কে মেতে উঠত। চর্চা হতো বুদ্ধিবৃত্তির। এই টংগুলোই ছিল সংস্কৃতি চর্চার প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় টং দোকান খোলার দাবি জানালেও প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। সেই টং দোকানগুলো পুনরায় খোলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-বিল্ডিংয়ের সামনে চাষাভুষার টং নামে দুটি দোকান পুনরায় স্থাপন করা হয়েছে।’ শাহরিয়ার আবেদিন নামে আন্দোলনকারীদের আরেক মুখপাত্র বলেন, ‘চলমান আন্দোলনে ক্যাম্পাস অপরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় আমরা পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা পরিষ্কার করেছি। ক্যাম্পাস আমাদের, তা পরিষ্কার রাখার দায়িত্বও আমাদের।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানান শাবিপ্রবির শিক্ষকেরা। কয়েকজন শিক্ষক গণমাধ্যমকে বলেন, ফেসবুকে বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার কারণে তাঁরা এই প্রতিবাদ করছেন।এ সময় অধ্যাপক ড. লায়লা আশরাফুন বলেন, ‘আমরা সাধারণ শিক্ষক। আমরা সম্মানের জন্য কাজ করি এবং সম্মানের জন্যই এই পেশায় এসেছি। আমরা চাষাভুষা নই যে, আমাদের যা খুশি তাই বলবে।’ তাঁর এই বক্তব্যটি নিয়ে ওই সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়। এ বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদনকারী কৃষকদের অপমান করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।
বিএ/৩০ জানুয়ারি