ছাতক প্রতিনিধিঃঃ সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নে ডাকাত সন্দেহে ৫ ব্যাক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে তাদের আটক করা হয়।
পরে এসআই আসাদুজ্জামান রাসেল গাবুরগাঁও পয়েন্ট থেকে রাতেই তাদেরকে ছাতক থানায় নিয়ে যান। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি ছোরা ও একটি বড় আকারের কেচি জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার নিলক্ষী বন্দর ইউনিয়নের নিলক্ষী পশ্চিম পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত রতন বেপারির ছেলে মাহবুব বেপারী (৩৫), একই গ্রামের মৃত চান মিয়া বেপারীর ছেলে জাকির বেপারী (৩৬), নাটোর জেলার নাটোর থানা সদরের বর হরিষপুর ইউনিয়নের দত্তপাড়া গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে শাহাদাত হোসেন সেন্টু (৩৭) বর্তমান মাদারীপুর সদরের কোনিয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।একই এলাকার মৃত মোতালেবের ছেলে মাসুদ রানা (২৯), মৃত আসাদুজ্জামানের ছেলে আশরাফী আহমেদ রাকিন (২২)।আটক ওই ৫জনকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এস আই আসাদুজ্জামান রাসেল। জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ মঙ্গলবার রাতে ছাতক থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে আন্ধারীগাঁও ও গাবুর গাঁও পয়েন্টের মাঝামাঝি স্থানে রাস্তায় একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে এখানে বসে থাকতে দেখেন ওই ৫ জনকে। এসময় তাদেরকে ইউপি চেয়ারম্যান জিজ্ঞেস করেন তাদের বাড়ি কোথায় এবং তারা যাবে কোথায় ইত্যাদি।
তারা চেয়ারম্যানকে জানায় রুক্কা একটি ওয়াজ মাহফিলে যাবে। পরে বলেছে এক মেম্বারের বাড়িতে যাবে তারা। সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক জানায় ছাতক থেকে রুক্কা যাওয়ার কথা বলে তাকে নেয়া হয়েছে। এসব কথা বার্তায় ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের সন্দেহ হলে তিনি এদেরকে নিয়ে গাবুরগাঁও পয়েন্টে গিয়ে লোকজন ডাকেন।এসময় উপস্থিত লোকজন বলেন, যে নামের লোকের কথা বলা হয়েছে এ নামে এই এলাকায় কোনও মেম্বার নেই। রুক্কা গ্রামে কোনও ওয়াজের মাহফিল ও নেই তবে তারা কই যেতে চায়। পরে বিভিন্ন ভাবে জিজ্ঞেস করার পর সাবেক এক ইউ পি সদস্যার নাম বলেছে আটকের মধ্যে একজন। ওই ইউপি সদস্যা ও তার স্বামীকে তাতক্ষনিক এখানে হাজির করা হলে তারা ওই ৫ জনের মধ্যে কাউকে চিনেন না বলে জানান। পরে ডাকাত সন্দেহে আটক ওই ৫ জনকে থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিএ/২৭ জানুয়ারি