এসবিএন, ইসমাঈল হুসাইন: সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্প্রিং-১২ সেশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই গড়বে আগামীর বাংলাদেশ আর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই হবে সেই বাংলাদেশের স্বপ্ন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা জীবনের এই সমাপনী ক্ষনিকের কিন্তু জ্ঞান অর্জনের কোনো সমাপ্তি নেই। শিক্ষার্থীদের জ্ঞান নীতি ও নন্দন তত্ত্বের চর্চা করে ভবিষ্যতের সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে জনসংযোগ কর্মকর্তা তারেক উদ্দিন তাজ’র সার্বিক সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার দাস।
প্রফেসর রুহুল আমিনের সভাপতিত্ত্বে বিদায়ী শিক্ষার্থী মিজান ও নাহিদার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ঋষিকেশ ঘোষ, প্রফেসর সৈয়দ মুয়ীজুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য বিজিত চৌধুরী, প্রক্টর প্রধান মাহবুব ইবনে সিরাজ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার নসরত আফজা চৌধুরী মিডিয়া ও জনসংযোগ পরিচালক তারেক উদ্দিন তাজ, অধ্যাপক ড. মমিনুল হক, আব্দুল লতিফ, একরামূল ফারুক, হুমায়ুন কবির, ব্যবসা প্রশাশনের হেড আব্দুল লতিফ।
এর আগে সকালে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালী সিলেট শহর প্রদক্ষিন করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ পরিচালক সুশান্ত আচার্য ও সহকারী প্রক্টর সিনিয়র প্রভাষক প্রণব কান্তি দেব’র নেতৃত্বে র্যালীতে শিক্ষার্থীরা সহ শিক্ষক, কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
স্প্রিং-১২ সেশনের সমাপণি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পুরো ক্যাম্পাস মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা। শরীরে রং মাখিয়ে নানা রকম পোজ দিয়ে ছবি তুলে তারা।
সারাদিন আনন্দ আর হই-হুল্লোর করে দিনটি স্মরণীয় করে রাখে ১৬তম ব্যাচের শিক্ষর্থীরা। এই আনন্দ শুধু ১৬তম ব্যাচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, ছড়িয়ে পড়েছিলো পুরো কেম্পাসেই।
আলোচনা সভায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন বিদায়ী শিক্ষার্থী মো. ইসমাঈল হুসাইন । অনুষ্ঠানের শুরুতে জওহর লাল দাস, কাজী হাবীব ও সুমন দাসের প্রতি শ্রদ্বা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ।
রাতে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপনী উৎসবের সমাপ্তি হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত শিল্পী কাজী শুভ, আশিক পাগলা, মোহন, সারওয়ার, বিপ্রেশসহ আরো অনেকেই গান পরিবেশন করেন।