নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগে ঢাকায় শাবিপ্রবি’র সাবেক পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটকের পর সিলেটে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি দল তাদের সিলেটে নিয়ে আসে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি।
আটককৃতরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর দারিপাকা গ্রামের মতিয়ার রহমান খানের ছেলে হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানাধীন লক্ষ্মীকোলা গ্রামের মুইন উদ্দিনের ছেলে রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনা জেলার সোনাডাঙ্গার মিজানুর রহমানের ছেলে এএফএম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকা মিরপুরের মাজার রোডের জব্বার হাউসিং বি-ব্লকের ১৭/৩ বাসার এ কে এম মোশাররফের ছেলে এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানাধীন নিয়ামতপুর গ্রামের সাদিকুল ইসলামের ছেলে ফয়সল আহমেদ (২৭)।
এর মধ্যে হাবিবুর শাবির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ থেকে ২০১২ সালে পাস করেছেন। একই বছর আর্কিটেকচার বিভাগ থেকে পাস করেছেন রেজা নূর মঈন দীপ ও নাজমুস সাকিব দ্বীপ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ পিপিএম।
তিনি বলেন, শাবির সার্বিক পরিস্থিতি ও আইন-শৃঙ্খলায় ব্যাঘাত ঘটানোর অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে এই ৫ জনের বিরুদ্ধে। তাদের জালালাবাদ থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার নিশারুল আরিফ ওই ৫ জন এখন জালালাবাদ থানায় আছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শাবি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অর্থ জোগান দিচ্ছেন তারা – এমন অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
নিশারুল আরিফ আরও বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ওই পাঁচজনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে সিআইডি। ওই পাঁচজনের বাড়ি সিলেটে না।
এবিএ/ ২৫ জানুয়ারি