সিলেট৭১ ডেস্ক:: সিলেটবাসীর ঐতিহ্য ও গর্বের স্মারক প্রতিষ্ঠান শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট অবিলম্বে নিরসন করে বিশ^বিদ্যালয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবী জানিয়েছেন সিলেটের অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন সচেতন সিলেটবাসীর নেতৃবৃন্দ। সংকট নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে যে দুরত্ব সৃষ্টি করছে তা নতুন প্রজন্মের জন্য এক কলংকজনক অধ্যায়ের সুচনা করবে বলেও মন্তব্য করেন তারা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ছাড় দেয়ার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তারা।
এক বিবৃতিতে সচেতন সিলেটবাসীর সভাপতি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলার রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় সিলেটবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতীক। এর সাথে সিলেটবাসীর ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। কিন্তু সম্প্রতি বিশ^বিদ্যালয়ে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সংকটের সৃষ্টি হয়ে সেটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১০ হাজারের অধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবকমন্ডলী ও গোটা সিলেটবাসী চরম উদ্বিগ্ন। একদিকে ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবীতে আন্দোলন ও অনশন অপরদিকে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিরবতায় চলমান সংকট ক্রমশই দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে দেয়া যায়না। আন্দোলনের শুরুতে শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অভিভাবক সুলভ আচরণ সিলেটবাসীর প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর এমন আচরণে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানতুল্য। একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ শালীনতা নির্ভর আচরণ আমরা প্রত্যাশা করি। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবীর সাথে আমাদের সমর্থন রয়েছে। কিন্তু বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে সকল মহলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার বৃহত্তর সার্থে ন্যায্য দাবী দাওয়া নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে করতে শিক্ষার্র্থীদের অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে। আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি ভিসির পদত্যাগের দাবীতে চলমান আন্দোলনে শিক্ষকদের নিয়ে বাজে ও অশালীন মন্তব্য করা হচ্ছে। যা সিলেটের ঐতিহ্য পরিপন্থি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের দায়িত্বশালী আচরণ সিলেটবাসী প্রত্যাশা করে। আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোন অমানবিক আচরণের সিদ্ধান্ত সিলেটবাসী সমর্থন করেনা। অবিলম্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সমাধান নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবী জানান তারা।
এবিএ/ ২৫ জানুয়ারি