সিলেট৭১নিউজ ডেস্কঃঃ নোয়াখালীর সদর উপজেলায় একটি মাদরাসার ভবনের চতুর্থ তলা থেকে আশরাফুল ইসলাম জিহাদ (১৫) নামের এক ছাত্রকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ছাত্রকে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে সুধারাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এর আগে গত শনিবার (২২ জানুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে মাইজদী জহুরুল হক মিয়ার গ্যারেজের জান্নাত প্লাজার মাদ্রাসাতুস সুফ্ফাহ আল ইসলামিয়ার মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম জিহাদ সদর উপজেলা মুরাদপুর গ্রামের মো. জিলনের ছেলে এবং ওই মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। এদিকে মাদরাসার একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শনিবার রাত ভোর ৪টার পরে ওই মাদরাসার আবাসিক শিক্ষক মোসলেহ উদ্দিনকে ওই ছাত্রকে ঘুম থেকে ডেকে ওঠাতে এবং তার রুমের একটি বিছানা নিয়ে যেতে দেখা যায়। পরে ওই শিক্ষকের অফিস অর্থাৎ থাকার রুমের জানালা দিয়ে ছাত্রটি লাফিয়ে নিচে পড়ে। বিষয়টি রহস্যজনক বলে অনেকে মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে তৃতীয় তলা ভবনের আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই ছাত্রটি লাফিয়ে পড়ার পর নিচে মুখোশ পরা চাদর দিয়ে ঢাকা এক ব্যক্তি ভোরে ছাত্রকে টানার চেষ্টা করে একবার চলে যায় এবং একবার আসে।ছাত্রটির স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হয়তো অভ্যন্তরীণ কোনো বিরোধ অথবা শিক্ষকের অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। এ ঘটনায় তারা সবগুলো সিসিটিভি ফুটেজ দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাদরাসার অধ্যক্ষ আব্বাস কামাল বলেন, ষষ্ঠ তলা থেকে আসা একটি ব্যানারের রশির সাহায্যে লাফ দিয়ে পড়ে যায় আশরাফুল ইসলাম জিহাদ। এখন বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।সুধারাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগের আলোকে পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। সিসিটিভির ফুটেজগুলো পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএ/২৫ জানুয়ারি