মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :: :: বাহারি সব পিঠা আর পুলির মেলা। নবান্ন, বিন্নি, নকশিসহ বিভিন্ন নামের সাতটি স্টল নিয়ে বসেছেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে পিঠা কিনছেন শিক্ষকরা। ব্যতিক্রমী এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে মৌলভীবাজারের ইম্পিরিয়েল কলেজ।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হয় পিঠা উৎসব। বনফুল, পাটিসাপটা, চিতল, গোলাপ, জামাই, নকশীসহ বিভিন্ন ধরণের শতাধিক পিঠা আর পুলি বাড়ি থেকে বানিয়ে এনেছেন শিক্ষার্থীরা। নিজেদের খরচে তারা এসব পিঠা তৈরী করেছেন। আটটি স্টলে বিভিন্ন শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রীরা এই পিঠাগুলো বিক্রি করছেন।
নবান্ন স্টলের মনোয়ার আহমদ বলেন, শীতের আমেজ এখন সবখানেই। গ্রামই বলুন আর শহরই বলুন। আমরা আমাদের দাদি নানীর কাছ থেকে গল্প শুনেছি শীতকালে অনেক পিঠা তৈরী করতেন। আমরা সেই ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
বিন্নি স্টলের সোনিয়া আক্তার বলেন, আমাদের কলেজ থেকে এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা বাড়ি থেকে বিভিন্ন ধরণের পিঠা তৈরী করে নিয়ে এসেছি। আমাদের সহপাঠিরা, শিক্ষকরা ও অভিবাবকরা এই পিঠা কিনছেন।
পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করে ভাল লাগছে বলে জানালেন বাহারি স্টলের মাজেদা বেগম। আর ফুলঝুড়ি স্টলের শাফিন আহমদ বাঙালির ঐতিহ্য ধরে রাখার জন্য এই ধরণের উৎব ধরে রাখার ইচ্ছা রয়েছে তার।
আনুষ্ঠানিকভাবে সকালে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ছড়াকার আবদুল হামিদ মাহবুব, ইম্পিরিয়েল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মামুনুর রশীদসহ অনেকে।
কলেজের শিক্ষক তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামীণ যে ঐতিহ্য আছে সেটা হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য লালনের চেষ্টা করছি। আমাদের শিক্ষার্থীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই পিঠা বানিয়ে এনেছেন আমার সহকর্মীরা পিঠা কিনছেন। কেউ খাচ্ছেন বাড়িতেও নিয়ে যাচ্ছেন।
মৌলভীবাজারের ইম্পিরিয়েল কলেজের কো-অর্ডিনেটর মো. সিতাব আলী জানান, আমার যারা শহরে বসবাস করি তারা গ্রামীণ এই ঐতিহ্য থেকে বঞ্চিত। সেই ঐতিহ্যের স্বাদ পাওয়ার জন্য অনেক ধরণের পিঠা আজ স্টলে নিয়ে এসেছে ছাত্রীরা। অনেক পিঠা আছে যেগুলোর নামও আমরা জানি না। এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে মূলত আমাদের বাঙ্গালী ঐতিহ্যকে স্মরণ করার জন্য আমরা এই উৎসবের আয়োজন করেছি।
এবিএ/ ২২ জানুয়ারি