সিলেট৭১ ডেস্ক:; সিলেটের বইপ্রেমীদের হৃদয়ে আলো ছড়িয়ে শেষ হল পক্ষকালব্যাপী সিলেট বইমেলা। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটায় মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় পঞ্চমবারের মতো বইমেলার আয়োজন করেছে প্রথম আলো বন্ধুসভা। মেলার শেষ দিনেও ছিল পাঠক ও দর্শনার্থীদের ছিল উপচেপড়া ভিড়। সমাপনী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়রসহ সিলেটর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা মেলা চলাকালীন বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার তুলে দেন বিজয়ীদের হাতে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ভাষার মাসে বইমেলা, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের মেধা বিকাশ হবে। সামনে আরও বড় আকারে মেলার আয়োজন করা হবে। কারণ আমি মনে করি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে কিছু শেখাতে হলে এই ধরনের আয়োজন প্রয়োজন।
বইমেলা আয়োজনের জন্য সিলেট বন্ধুসভার সদস্যদের নগরবাসীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান সিটি মেয়রসহ সিলেট সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা।
প্রথম আলো সিলেট জেলার সিলেট প্রতিনিধি সুমনকুমার দাশের সঞ্চালনায় সমাপনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার আরশ আলী, সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সিলটিভির পরিচালক সিনিয়র সাংবাদিক আল আজাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম সেলিম, বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী কিম, প্রথম আলো সিলেট জেলার নিজস্ব প্রতিবেদক উজ্জ্বল মেহেদি, ইমজার সভাপতি মাহবুবুর রহমান রিপন, কবি প্রণব কান্তি দেব, এসিড সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুরেজ আব্দুল্লাহ গুলজার।
সিলেট বন্ধুসভার সভাপতি তামান্না ইসলামের সঞ্চালনায় বিকাল থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত মেলা মূল মঞ্চে চলে সিলেটের বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজনে নৃত্য, গান, আবৃত্তি। রাত সাড়ে আটটায় সিলেট বন্ধুসভার উপদেষ্টা প্রয়াত মইনুদ্দিন আহমদ জালাল স্মরণে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় ক বিভাগে প্রথম স্থান অজর্ন করে সানজিদা হোসেন, দ্বিতীয় স্থান অজর্ন কওে ঋত্বিক দেব, তৃতীয় স্থান অজর্ন করে আবু আরিয়ান। খ বিভাগে প্রথম স্থান অজর্ন করে তাওসিফ ইকবাল, দ্বিতীয় স্থান অজর্ন কওে মেহরিন মোতাহার সামিয়া, তৃতীয় স্থান অজর্ন করে তাহিয়া রাবার। গ বিভাগে প্রথম স্থান অজর্ন করে ঐশ্বর্যা কুন্ডু শ্রেয়া দ্বিতীয় স্থান অজর্ন কওে ফাইজা চৌধুরী, তৃতীয় স্থান অজর্ন করে আফিয়াত রামিসা চৌধুরী। ঘ বিভাগে প্রথম স্থান অজর্ন করে ঐশিক সাহা, দ্বিতীয় স্থান অজর্ন করে সৈয়দা রাইদা সাবাহাত, তৃতীয় স্থান অজর্ন করে রাকিববুল ইসলাম চৌধুরী।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় ক বিভাগের প্রথম স্থান অজর্ন করে অনামিকা বিশ্বাস, দ্বিতীয় স্থান অজর্ন করে অন্বেষা ভৌমিক, তৃতীয় স্থান অজর্ন করে সৌমিক সরকার। খ বিভাগে প্রথম স্থান অজর্ন করে মো. আহসান সামি ভূইয়া, দ্বিতীয় স্থান অজর্ন করে অরুনাভ কর অভ্র, তৃতীয় স্থান অজর্ন করে জারিদ বিল্লা। গ বিভাগে প্রথম স্থান অজর্ন করে বন্দন বৈধ্য সানি, দ্বিতীয় স্থান অজর্ন করে তাসভির তানভির চাঁদ, তৃতীয় স্থান অজর্ন করে সৈয়দা রাইবা সাবাত দিনা। ঘ বিভাগে প্রথম স্থান অজর্ন করে দেবরাজ বণিক।
ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন মাইশা নেওয়াজ, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন তারেক মনোয়ার, তৃতীয় স্থান অর্জন করেন সাবিহা তানজিম।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মেলা শুরু হয়েছিল। এই মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। বই বিকিকিনির পাশাপাশি প্রতিদিন মেলায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সাহিত্য আড্ডা, আলোচনা সভা, শিশুদের আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, ফটোগ্রাফি ও সেলফি প্রতিযোগিতা ও নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন।
মেলায় ঢাকা ও সিলেটের ২৪টি প্রকাশনা ও বই বিপণন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবছর সিলেট বইমেলা উৎসর্গ করা হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে। মেলা আয়োজনে সহযোগিতা করছে সিলেট সিটি করপোরেশন।
এবিএ/ ১৯ জানুয়ারি