সিলেট৭১নিউজ ডেস্ক:: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে পরাজয়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তিনি বলেছেন, এটা আমাদের নয়, সরকারের পরাজয়। জনগণের ভালোবাসায় আমরা জয়ী।রোববার রাতে কেন্দ্রগুলো থেকে আসা প্রাথমিক ফল অনুযায়ী হাতি মার্কার তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৯২ হাজার ১৭১ ভোট। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ২৭৩ ভোট পেয়েছেন।
প্রতিক্রিয়ায় তৈমূর বলেন, বেশ কিছু কেন্দ্রে ইভিএম ত্রুটিপূর্ণ ও স্লো ছিল। অনেক লোক ভোট দিতে পারেননি। ইভিএম কারচুপির জন্য আমাদের পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই যারা নির্বাচনে আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন।খেলা হয়েছে সরকার বনাম জনগণ, সরকার বনাম তৈমুর আলম খন্দকার। আমি সিটি করপোরেশনের জন্য কী করেছি নারায়ণগঞ্জবাসী তা জানে। বিএনপি আমার রক্তের সঙ্গে মিশে গেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আমার সমন্বয়ককে কাগজ সহ গ্রেফতার করা হয়। আমার লোকজন প্রতিদিনই গ্রেফতার হতে থাকে। আপনারা দেখবেন হেফাজতের মামলা দেওয়া হয়েছে সকলকে। এদের মধ্যে হিন্দু লোকও আছে। এখন দেখা যায় মুসলমান তো করেই, হিন্দুরাও হেফাজত করে।
তিনি বলেন, সকাল থেকে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বন্দরের সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমার চিফ এজেন্টের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। এ অবস্থায় একটা মানুষ স্বতন্ত্র দাড়িয়ে কীভাবে ঠিক থাকতে পারে। তারপরও জনগণ আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ঢাকার মেহমানদের অতিরঞ্জিত কথার পরে গ্রেফতার শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীর কবির নানককে যখন জিজ্ঞেস করা হয় তখন তিনি বলেছিলেন ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড তাদের জন্য ঝুকিপূর্ণ। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে আমি থাকি, আমার ভাই তিনবারের কাউন্সিলর। আর ১২ নম্বর ওয়ার্ড সরকারি এমপির ওয়ার্ড। আমি বললাম সরকারই যদি তার এমপির কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে, তাহলে আমার কিছু করার নেই। নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়া মেয়র পদে লড়েন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
বিএ/১৭ জানুয়ারি