অজয় বৈদ্য অন্তর:: রথ দেখলেন, কলা খেলেন, মেয়র আরিফসহ সিসিকের ৪৪জন প্রতিনিধি দল। নগরবাসীর টেক্সের টাকায় নগর বাবা আরিফের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দল হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুলনা সিটি কর্পোরেশনে যে উন্নয়ন হয়েছে তা দেখে অভিভূত হয়ে গেলেন তারা। সিলেট ১ আসনের সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে মোমেন সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সিলেটের যে প্রজেক্ট নিয়ে যান সেই প্রজেক্টই পাস করে দেন শেখ হাসিনা। সিলেট নগরীর উন্নয়নের জন্য যে প্রজেক্টগুলো চলমান, রহস্যজনক কারণে সেই প্রজেক্ট গুলোর ধীরগতি দেখে সাদামনের মানুষ সিলেট বন্ধু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন খুলনার উন্নয়ন দেখার জন্য একটি চিটি দেন মেয়র আরিফকে।
সিসিকের একটি সূত্র জানায়, মেয়র আরিফ, কাউন্সিলর, কর্মকর্তারা আগে থেকেই খুলনার সুন্দর বনে পিকিনিক করার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি পাওয়ার পরই পরিবার পরিজন নিয়ে পিকনিক করার জন্য ছুটে গেলেন প্রতিনিধি দল। ঘুরে দেখলেন খুলনার উন্নয়ন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন, অভিভূত হয়ে গেলেন মেয়র আরিফ। প্রশংসা করলেন বর্তমান সরকারের এমনটা জানালেন সিলনিউজবিডি ডটকম কে সিসিকের নগর উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছা সেবক লীগ সিলেট মহানগরের সভাপতি মো: আফতাব হোসেন খান।
আফতাব হোসেন খান বলেন, আওয়ামীলীগ মানে উন্নয়ন, নৌকা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন। ২০০৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পূণ্যভূমি সিলেট নগরীর উন্নয়নের জন্য যে বরাদ্দ দিয়েছন তা অন্য সিটি কর্পোরেশন থেকেও বেশী। খুলনার সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন দেখে আমি আফতাব হোসেন খান লজ্জায় লজ্জিত হলাম। কারণ আমাদের সিলেটে অপরিকল্পিতি উন্নয়ন করে বছরের পর বছর নগরবাসীকে কেবল ভোগান্তিই দিয়েছি। উন্নয়নের নামে ভাঙ্গা-গড়ার খেলা খেলছি। এবার আমাদের প্রতিনিধি দল খুলনা থেকে শিক্ষা নিয়ে সিলেট এসে যদি পরিকল্পনা মোতাবেক উন্নয়ন না করে তাহলে দুনিয়া এবং আখেরাতে আমরা আজীবন নগরবাসীর কাছে ক্ষমা পাবো না।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আফতাব হোসেন খান বলেন, নগরবাসীর টেক্সের টাকায় ৪৪ জনের প্রতিনিধি দলে পরিবারের লোকজনকে নেওয়ায় আমি লজ্জিত! এটা আমাদের ঠিক হয়নি।
খুলনা ওয়াসা এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখেছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কর্মকর্তাদের ৪৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে সিসিকের প্রতিনিধি দলটি খুলনা ওয়াসার ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট” পরিদর্শনে যান। খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ সহ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা এসময় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলকে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখান।
খুলনা ওয়াসা কতৃপক্ষ জানান, খুলনা মহানগর থেকে ৩৩ কিলোমিটার দূরবর্তি মধুমতি নদী থেকে সংযোগ লাইনের মাধ্যমে পানি এনে ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট”-এর মাধ্যমে প্রতিদিন ১১ কোটি লিটার পানি পরিশোধন করা হয়। ৬৬ একর ভূমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট আধুনিক পদ্ধতিতে পানি পরিশোধন করে ৬টি জোনে খুলনা সিটি কর্পোরেশনে পানি সরবরাহ করা হয়।
পরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের আয়োজিত একটি মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেস সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
এদিকে দুপুরে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সহ কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের সাথে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বাধিন প্রতিনিধি দলটি মত বিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ নিয়ে মতবিনিময় করেন।
পরে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব এসপল্ট প্লান্ট ও মানব বর্জ্য পরিশোধন প্রকল্প পরিদর্শন করেন সিসিকের প্রতিনিধি দলটি।
এবিএ/১৬ জানুয়ারি