নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডেরর খুলিয়াপাড়ার ৫২/৫ নং বাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ বাসায় কাউন্সিলর শানু দীর্ঘদিন থেকে একটি চুক্তিতে বসবাস করছেন। বাসাটির মূল মালিক শানুর ভাসুর নুরুল ইসলাম।
শনিবার দুপুরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে বাসার সামনে পেট্রল বোমা ফাটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে এবং দায়ের কোপে একজনের হাতের আঙ্গুলের মাথা কেটে ফেলে। পরে কোতোয়ালি মডেল থানাধীন লামাবাজার ফাঁড়ির একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
কাউন্সিলর শানু জানান, হেতিমগঞ্জের কয়েকজন লোকের সঙ্গে বাসার মূল মালিক তার ভাসুর নুরুল ইসলামের বাসা বিক্রির বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে শনিবার দুপুরে ৩০-৩৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত বাসায় হামলা চালায়। দুতলা বাসার উপরের তলায় কাউন্সিলর শানু ও নিচতলায় রাকিব নামে একজন পরিবার নিয়ে থাকেন। হামলার সময় তারা বাসার মূল ফটক লাগিয়ে দিতে চাইলে হামলাকারীরা দা দিয়ে আঘাত করেন। এসময় রাকিব নামের ওই ব্যক্তির আঙ্গুলের মাথায় কোপ পড়ে। বাসার ভেতরে হামলাকারীরা ঢুকতে না পেরে ফটকে দা দিয়ে কুপায় এবং বাসার সামনে পেট্রল বোমা বোমা ফাটিয়ে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
কাউন্সিলর শানুর ভাসুর ও বাসার মূল মালিক নুরুল ইসলাম বলেন, বছরখানেক আগে হেতিমগঞ্জের লোকমান নামে এক ব্যক্তি আমার বাসাটি ক্রয় করবে বলে ৬৫ লাখ টাকা দাম চূড়ান্ত করে। ৫ মাস আগে ১৫ লাখ দিয়ে একটি বায়নামাপত্র করে। কিন্তু এরপর আর আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে একটি ভুয়া দলিল করে আজ হঠাৎ করে ৩০-৩৫ জন লোক নিয়ে বাসাটি জোর করে দখল করতে চলে আসে এবং হামলা চালায়। এই ভুয়া দলিলের বিষয়টি আমি সম্প্রতি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে আমি আগামীকালই (রোববার) আদালতে মামলা করবো।
বাসার হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান কাউন্সিলর শানু।
এবিএ/১৫ জানুয়ারি