সিলেট৭১নিউজ ডেস্কঃঃ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনার্সকে শেষ ডিগ্রি বাস্তবায়ন করে গণহারে মাস্টার্স করার সুযোগ বন্ধ করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন নীতি বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। কাগজে-কলমে আগে থেকেই অনার্সই টার্মিনাল ডিগ্রি হলেও এখন থেকে সীমিত করার সুপারিশ তাদের। তবে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মাস্টার্সে শর্ত জুড়ে দেওয়ার প্রথাও থামানোর দাবি সংশ্লিষ্টদের।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেন বলেন, স্নাতকই হবে প্রান্তিক ডিগ্রি। এটাই হচ্ছে আমাদের মূল বার্তা। বাংলাদেশে এটা আছে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচার, এমবিবিএস, ভেটেরিনারি বিষয়গুলোতে পাঁচ বছরের স্নাতক ডিগ্রি। অনার্স পাস করে বিসিএসে অংশ নিয়ে মাস্টার্স ছাড়া সিনিয়র সচিবও হতে পারে। কোনো সমস্যা নেই। এরপর যারা উচ্চতর শিক্ষা যেমন এমফিল-পিএইচডি, শিক্ষকতা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যেতে চায় তাদের মাস্টার্সের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে সংখ্যাটা হবে সীমিত। মাস্টার্স করতে পারা শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বিষয়ে তিনি বলেন, একটা বিভাগ কতজন শিক্ষার্থীকে মাস্টার্স করাতে পারবে সেটা নির্ভর করবে সে বিভাগের কতজন অধ্যাপক আছেন, যারা ভালোভাবে গাইড করতে পারবেন তাদের। মাস্টার্সে এবং পিএইচডিতে থিসিস করতে হয়, গবেষণা করতে হয় এটার জন্য গাইড খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদেশে যারা মাস্টার্স করে তারা স্কলারশিপ বা ফেলোশিপ নিয়ে করে। তাহলে আমরা সবাইকে গণহারে না দিয়ে যারা মাস্টার্স করতে পারবে তাদের স্কলারশিপ বা ফেলোশিপের আওতায় নিয়ে আসতে পারব। কিন্তু সেটা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার মতো রিসোর্স আমাদের নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বলছে, গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থায় যেতে হলে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলে যে আবাসন সংকট সেটা থেকেও তারা বেরিয়ে আসতে পারবে। এর বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ হলেও এমনটি হলে তা গবেষণা অঙ্গনে ইতিবাচক ফল নিয়ে আসবে এমনটা প্রত্যাশা তাদের।
বিএ/১৫ জানুয়ারি